শাস্তি
সাহানা আক্তার বানু
আমার বর চেয়ার টেনে নিয়ে জানালার কাছে বসলো। আমি তার চুলে কলপ লাগিয়ে দেই। দুজনের ছোট ছোট কথায় হাসি রসিকতা চলতে থাকে। হঠাৎ নিচের দিকে চোখ পড়তেই দেখি নিতু আমাদের দিকে অপলক চেয়ে আছে। চোখাচোখি হতেই দ্রুত বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ল। নিতু খুব সুন্দরী সৎ চরিত্রবান গুনবতী। প্রায় বছর দশেক আগে বিয়ে হয়েছে। বছর তিনেক স্বামী আর বাবার বাড়ি নিয়ে কেটেছে। বিয়ের পর এক মাস ছিল তারপর বিদেশ গিয়ে আর আসা হয়নি।
বিয়ের সময় কথা ছিল নিতুকে বিদেশে নিয়ে যাবে।নিতু কান্নাকাটি করে স্বামীর কাছে যেতে চাইলে স্বামী স্পষ্ট জানিয়ে দেয় বিদেশে তার বউ আছে, সেখানে নিতুকে নিয়ে যেতে পারবে না। অতঃপর নিতুর বাবা-মা নিতুকে ছাড়িয়ে নিয়েছে। কয়েক বছর বাবা-মার ঘরে থেকে নিজেকে মানসিকভাবে শক্ত করে ঢাকা চলে যায় চাকরির খোঁজে। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভালো পদে চাকুরী করে। ধীরে ধীরে নিতুর গুণগুলো বেরিয়ে আসতে থাকে ।চাকরিতে প্রমোশন হয়। সুন্দরী রমণী তারপর ডিভোর্সি। ছোট থেকে বুড়ো সব বয়সের পুরুষগুলো উত্তক্ত করতে থাকে। নিতু যেন কষ্টিপাথরে যাচাই করা ,এক চুলও কেউ টলাতে পারে না।
ওই অফিসের বসের ছেলে ভার্সিটিতে পড়াশোনা করে। কোন এক কাজে অফিসে এসে নিতুকে দেখে মুগ্ধ হয়। কাজের ছুতো করে নিতুর সাথে আলাপ করে। ছেলেটির চোখে মুগ্ধতা দেখে নিতু নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করে। চল্লিশের এর কোঠায় যার বয়স পৌঁছায় নাই যুবকের মুগ্ধ দৃষ্টি সে কি করে এড়িয়ে চলে?? নিঃসঙ্গ জীবনে একটা ভালো লাগা তার ভেতরেও তৈরি হতে থাকে।…….
১ Comment
very nice story, congratulations