দুইটি কবিতা :
আশংকা
শরাবান তহুরা
নির্ঝর! আমি রাজশ্রী!
সমৃদ্ধের দেবী।
এখনো কি তোমার ই আছি?
না, বদলে গেছে সবি।
বদলে যেমন, ভোরের শিশির গুলো
সময় যেতেই জমতে থাকে ধুলো ।
তেমনি করে মোদের মনি কোঠায়,
অবিশ্বাসের হুল তো নাহি ফোটায়।
যেমনি করে উড়িয়ে দিয়ে মানুষ,
খুঁজছে না যে , কোথায় গেল ফানুস।
তুমিও কি তেমনি অবহেলায়,
ভাসিয়ে দিবে লক্ষিনদারের ভেলায়?
অথবা কোন চোরাবালির চরে,
ডুবিয়ে দিয়ে, ফিরবে না তো ঘরে?
আমি রাজশ্রী, সমৃদ্ধের দেবী ।
যে কেবল, অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের ছবি ।
তুমি নির্ঝর, মরুর বুকে সচ্ছ জলের ধারা।
তোমার ছোঁয়ায় সিক্ত হবে, তৃষ্ণার্থ এই ধরা।
নিলাম্বরী
এই ! তুমি আমাকে একটা শাড়ি কিনে দাওনা ।
ঐ কী যেন রং !
রূপালী রূপালী জলকেলি জলকেলি।
ঝলমলে সকালে সোনা ঝরা বিকেলে
রোদেতে বৃষ্টিতে কুঁচিতে আঁচলে
জড়িয়ে জড়িয়ে জলেতে পা ফেলি।
দাও না কিনে, ঐ যে-
বাসন্তী আকাশি ঝিকিমিকি সোনালি,
ফুলেতে ফলেতে লতানো পেঁচানো
প্রজাপতির রং তুলি ।
দখিনা বাতাসে সুখের পরশে
নাচিয়া গাহিয়া হাসিতে হাসিতে,
পরানো কাড়িবে, নয়ন চাহিবে
মেঘের দেশেতে আঁচল ওড়াতে ।
দাও না কিনে, না হয়-
নিলাম্বরী?
লেখক: শিক্ষক/বুয়েট, ঢাকা।