রুহের বিপরীতে।
নাসরিন পাঠান
আজীবনই মনের আহ্বান শুনেছি
দুনিয়ার আওয়াজ তো কখনও শুনিইনি
মানবনীতি লালনে পালন করিনি ধড়িবাজ ধরিত্রীর রকমারি রীতি-রেওয়াজ
জৈবিক আবহবিকারে পুঞ্জিত স্খলন ঘটেনি
অন্তরাত্মার সৌন্দর্যের
বিনিদ্র চোখ স্বপ্ন দেখেনি সংকুচিত পৃথিবীর
চিত্র এঁকে গেছে সদা প্রেমময় উদার ভুবনের!
পাহাড় ঢলে পড়লে
নদী শুকিয়ে গেলে
পথেরা ফুরিয়ে এলে হাসিখুশি থাকবে অম্লান, অটুট,
মানুষের এমনটাই চাওয়া
অথচ দৃশ্যপট সদা অন্য কথাই বলে!
তাই এবার ওই বিদ্বেষী বসুন্ধরার পথেই চলবো
তার মতেই দৈন্যদুরাশা দলবো_
নিজের পথটুকু বেজান বাতাসও বের করে নেয়
নদীও তাই করে!
শৈশবে “একের ভেতর তিন” “বাল্যশিক্ষা” বইগুলোয় যা-কিছু পাঠ করেছি
অবচেতন চিত্তে তার সবই গেঁথে নিয়েছি
বেড়ে উঠেছি সদ্য জাগা লতানো উদ্ভিদের মতো
আদর্শিক বাণীর মর্মকথা আঁকড়ে
অথচ প্রাপ্তির খাতায় তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য তিরস্কার
চাহেতিক চেহারা উন্মোচিত রুহের বিপরীতে
সমুদ্র সিঞ্চনে সঞ্চিত মুঠো-মুঠো বিষাদ পাথর
আর বিন্দু-বিন্দু নোনাজল!