অপেক্ষা
রহিমা আক্তার লিলি
এই যে ছেলে!
শুনছো আমায়,টেলিফোনে?
মনে পড়ে? এইতো সে দিন!
গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকে কোন ছেলেটা?
বুক পকেটে লাল গোলাপের ঘোর হতাশা!
অপেক্ষাতে প্রহর গুনে, আসবে কখন
হরিণ চোখের সেই মেয়েটা।
সেই ছেলেটার বুকের ভেতর খাঁ খাঁ করে
চৈত্র মাসের ভরা দুপুর।
আসবে কখন উড়িয়ে ধূলো
রিনিঝিনি বাজিয়ে নূপুর।
অষ্টাদশী কাঁপন তুলে
সবুজ পাড়ের ওড়না দুলে বুকের ভেতর।
চোখের কোণে বাউরি উড়ায় ফাগুন হাওয়া,
চুলের ভাঁজে আটকে থাকে অচীন মায়া।
সেই মেয়েটার পায়ের নূপুর পথের ধুলোয়
গড়িয়ে পড়ে কোন বাহানায়?
আড় চাহনি মুচকি হাসি ঝর তুলে যায়
কোন সে গাঙে!
স্বপ্ন বুনা কোন মোহনায়!
এই যে ছেলে! শুনছো নাকি?
সেই মেয়েটা কোথায় সেদিন হারিয়ে গেলো!
খুঁজ নিযেছো?একটি বারও!
কোথায় তাহার ভীড়লো তরী!
কোথায় নোঙর!
সেই মেয়েটি আজও খুঁজে পায়নি তাহার
হারিয়ে যাওয়া সোনার নূপুর।
এখনো তার বুকের ভেতর ঝড় তুলে যায়
উদাস করা মধ্য দুপুর।
সেই মেয়েটি এই শহরের কোন গলিতে,
বিষাদ ভরা বেলকনিতে, উদাস চোখে
বেখেয়ালে দাঁড়িয়ে থাকে একলা একা!
পায়ের নিচে বিষণ্ণতা।
উড়ায় আঁচল, পোড়ায় পাঁজর
পোড়ায় মনের ব্যাকুলতা।
সই ছেলেটা এখনো কি কাজের ফাঁকে,
ভর দুপুরে, হঠাৎ করে থমকে দাঁড়ায়
গলির মোড়ে?
এখনো কি অপেক্ষাতে প্রহর গুনে,
হরিণ চোখের সেই মেয়েটা আসবে বলে?
জানতে বড় ইচ্ছে করে।