যন্ত্রণা
অনিতা দাস
কুয়াশা ঘেরা ভোরের বুকে জেগে দেখি
সাদা পায়রারা উড়ে যায়
সূর্যটার দেখা মেলা ভার।
বুকের ভেতর দীর্ঘশ্বাসটা বেরিয়ে
পুড়ে ছাই করে দিতে চায় সব কিছু,
পাষাণ শহরে ভালোবাসার নেই কোন ঠায়
জল রং এ আঁকা মুখ অস্পষ্ট হয়,
ঝলমলে স্মৃতিরা তাড়িয়ে বেড়ায়।
বুকের মরুভূমিতে স্বপ্ন ভাঙার দুর্দিনে
তোমা হতে কেন দূরে নিয়ে যায়?
তুমি তো জানতে
আমার হাসি আনন্দের উৎস তুমি,
বেঁচে থাকার নির্যাস তুমি,
তোমাতেই অদৃশ্য বাঁধন আমার।
রূপে নয় মোহে নয় আত্মা দিয়ে
ভেতরের অন্তর আত্মা
তোমাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়।
আকুলতা ব্যকুলতা সব তোমাকে ঘিরে
এক ফালি অখণ্ড ভালোবাসায়,
বিশ্বাসে আবেগে দূর্বলতায় তোমাকে
হৃদয় খুঁজে খুঁজে যায়,
নির্ঘুম রাতের আকাশে তাঁরার মাঝে
বিলিন হয়ে আমি,
আহত আর্তনাদে কাঁদি,
তোমাকে না পাওয়ার শূন্যতায়।
নিষ্ঠুর পৃথিবীর যত নিয়ম
বিছিন্ন করেছে তোমায় আমায়,
তোমার বুকের সমুদ্রে ডুবে আমি
অবগাহন করেছি,
আমার না পাওয়া যত বসন্ত দিন
পরম যত্নে আগলে রেখেছি তারে,
গোধূলি রঙিন মেঘের প্রফুল্লতায়
আমাদের প্রথম প্রণয়ের সেই দিন।
সকলকে ফাঁকি দিয়ে স্বর্গে পৌঁছোনোর
প্রতিটি মমতা মাখানো স্পর্শের
স্বর্গীয় ঋণ।
এ-শহরের ব্যস্ততায় ত্রস্ত
মানুষের কোলাহলে
ছিটকে গেছি দুজনায়,
মরে মরে বেঁচে থাকার যন্ত্রণায়
তুমি আমি বিষে নীল।
তবুও আত্মার সাথে আত্মা জুড়ে রাখি
আমরা দুজনায় আমৃত্যু ভালোবাসায়।