মেরী হাওলাদার-এর দুইটি কবিতা:
শূন্যে বেঁধেছি ঘর
কেন চোখের ধনুকে প্রায়শঃ ছোড় আমাকে দৃষ্টি বান?
কিভাবে আমি জলে নামি বলো বস্তুত; জানিনা সাঁতার।
আমাকে তুমি বাঁধতে চাও কেন তোমার প্রেমের মায়ায়?
আমিতো ছেড়েছি বিলাসী কুটির, দ্যুতিময় নক্ষত্রের নেশায়।
কেন কুহক জাল বিছিয়ে রাখো আমার চলার পথে?
নিয়ম ভাঙ্গার নিয়মে আমি অটল দুরন্ত রথে।
কেন মিষ্টি কথার ফুলঝুরিতে ভুলাও অকারণে?
‘স্বাতন্ত্র’ আমি দেবো না বন্ধক তোমার করতলে।
মুক্ত আমি বাধা-বন্ধনহীন বিহঙ্গের মত মন
যেমন খুশি ঘুরে বেড়াই, শৃঙ্খলে শঙ্কা আমরণ।
আকাশে ভাসি সাগর দেখি পাহাড় চূড়ায় উঠি
রংধনু রঙে রাঙিয়ে নিজেকে নৈস্বর্গে বসি।
নিঝুম রাতে তারার সাথে নিবিড় আলিঙ্গন
কালপুরুষের বীরত্ব গাথায় কবিতার সঙ্গম।
সপ্ত ঋষির সাতকাহনে অপার আনাগোনা
প্রতি প্রহরে নব্য প্রেমে জীবন মাতোয়ারা।
আমাকে খুঁজোনা কখনো যেন সীমিত সীমানায়
আমিতো গড়েছি স্বপ্নিল প্রাসাদ সুদূর নীলিমায়।।
আলোতে আঁধার
উৎসবে মাতোয়ারা
আকাশ পাতাল
জ্যোৎস্না প্লাবিত
ঘন অরণ্য ভূধর।
ধরণীর এক ধারে
কুটির পাতার
ভাঙ্গাচোরা তার বেড়া
নিঃসীম অন্ধকার।
ন্যুব্জ দ্রাবিড় মন হাঁটে
দীপক সন্ধানে
আঁকাবাঁকা দ্রাঘিমা ধরে
সুদূর অচিনপুরে।
কাঙ্ক্ষিত ললিত প্রেম
কোথাও না পেয়ে
ক্ষতবিক্ষত চরণ থামে
প্রশান্ত সাগরে।
গাংচিলের ব্যস্ত ছোটাছুটি
বাস্তুসংস্থান
গভীর কূপে জলোচ্ছ্বাস,
থই থই বিনাশ।
মুহুর্মুহু ঝংকারে
শুরু হয় শ্রাবণ
বন্ধ্যা ভূমিতে আসে
প্রাণের স্পন্দন।
কদম কেয়ায় আজ
সেজেছে তরু
পানসি চলে তালে
বুক দুরুদুরু।
রুক্ষ প্রকৃতি হলো
শান্ত শীতল
চিত্ত যে মরুভূমি
ধুধু বালুচর।
৮ Comments
চমৎকার বিষয়বস্তুর আলোকে লেখা দুটি অসাধারণ কবিতা।
It was mesmerising. I wish you the best of luck.
প্রথম কবিতা সুন্দর, কিন্তু দ্বিতীয়টি সুন্দরী।
অনেক শুভেচ্ছা লেখিকার জন্য।
আপনার কবিতা সত্যি অসাধারণ।আপ্লুত হলাম।পরের কবিতার জন্য অধীর অপেক্ষা ।ভালো থাকুন।
very good job. congratulations.
আমি প্রিয় কবি আবুল খায়ের ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং সকল প্রিয় পাঠক বন্ধুদের জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও অফুরন্ত শুভকামনা।
অসাধারণ কবিতা
Oshadharon apner likhar vhab-murti……khub valo layghaychay kobita 2 ti poray.