বিকলাঙ্গ রাত
বিকলাঙ্গ রাতের তিথি
আঁধারে ঢাকা তরুবীথি
প্রতিবন্ধীর মত খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে
পেরোয় রাতের প্রহর ।
দূরে শোনা যায় আজানের ধ্বনি
ভেসে চলে কিছু কালো মেঘ
আঁধার সরিয়ে পূর্বের রক্তিম আকাশ
থমথমে আকাশে শীতল বাতাস।
তবে কি আজ সূর্যও দেবে ফাঁকি ?
অনেক উঁচু থেকে পৃথিবীকে বড় ছোট মনে হয় ,
যেমন ছোট ছিলো আমাদের সময় ।
তোমাতে আমাতে মিল ছিলোনা তেমন
অমিল ছিলো যেমন
তবু আমরা মিলে ছিলাম ।
বিষে জর্জর
ফুলেতে গন্ধ নাই
রঙে ঝলমলো
মৌচাকে মধু নাই
বিষে জর্জর জর্জর
স্পর্শে আবেগ নাই
কাঁপে থর থর
ভাবনা গুলো এলোমেলো
চলতি পথে পা টলমলো
ঝাপসা দু-নয়ন
দেখেনা তেমন ভালো
বিশ্বাসে ঘুণপোকা
ভালবাসা কুড়ে কুড়ে খেলো
প্রেমিক হৃদয়, উদাস মন
কোথায় যেন হারিয়ে গেলো ।
বিবেক
নিজ হাতে লিখে রাখি
ফাঁসির পরোয়ানা,
কবে যেন কার কাছে ঋণী
শুধরাতে হবে যে দেনা ।
মনে পড়ে অন্ধের লাঠি
যৌবনে দিয়ে ছিনু লাথি
আজ পা অসাড় কেন ?
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ
ফাঁসির মঞ্চে নয়
বিবেকের দংশনে মরণ ।