একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী অভিনেতা ও নাট্যকার মাসুম আজিজ (৭০) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রয়াতের ছেলে উৎস জামান।
গেল বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন একুশে পদক পাওয়া এই অভিনেতা। এর সপ্তাহখানেক আগে ক্যানসারে আক্রান্ত মাসুম আজিজকে ওই হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে বার্ধক্যের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন মাসুম আজিজ। চলতি বছরের শুরুর দিকে তার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে।
মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত মাসুম আজিজ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি থিয়েটারে কাজের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। এর পর ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি চারশর বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন।
মাসুম আজিজ ছিলেন একাধারে অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্দেশক। মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে তিনি চার দশকের বেশি সময় ধরে নিয়মিত অভিনয় করেছেন। হুমায়ূন আহমেদ থেকে শুরু করে বর্তমান প্রজন্মের অনেক নির্মাতার নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করে পেয়েছেন জনপ্রিয়তা।
‘ঘানি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৬ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে রাইসুল ইসলাম আসাদের সঙ্গে যুগ্মভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন মাসুম আজিজ। ‘গহীনে শব্দ’, ‘এই তো প্রেম’, ‘গাড়িওয়ালা’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘সনাতন গল্প’ পরিচালনা করেছেন। সিনেমাটি ২০১৮ সালে মুক্তি পায়। ২০২২ সালে একুশে পদক পেয়েছেন মাসুম আজিজ।
অভিনয়শিল্পী পরিচয় ছাড়াও মাসুম আজিজ চিত্রনাট্যকার ও নাট্যনির্মাতা হিসেবে পরিচিত। মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের খ্যাতি রয়েছে তার। হুমায়ূন আহমেদের ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’, সালাউদ্দিন লাভলুর ‘তিন গ্যাদা’সহ অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
১৯৫২ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন মাসুম আজিজ। অভিনয়ের জন্য মঞ্চ, টেলিভিশন আর সিনেমায় খ্যাতি রয়েছে তার। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত তিনি। প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন ১৯৮৫ সালে। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে চার শতাধিক নাটকে কাজ করেছেন মাসুম আজিজ।