করোনা কালের যাপিত জীবন
মরিয়ম ইসলাম, ওহায়ও, ইউএসএ
করোনা ভাইরাস এর কারণে পৃথিবীময় আতংঙ্ক এ ধরার কিছু কিছু যায়গায় মৃত্যুর মিছিল।পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষার জন্যে সৃষ্টিকর্তা প্রতি শতাব্দীর শুরুতে মহামারী দিয়ে পৃথিবীটাকে পরিশুদ্ধ করেন, সর্বশেষ ১৯২০ সালে “স্পানিশফ্লু ভাইরাস” দিয়ে পৃথিবীকে পরিশুদ্ধ করেছেন, তাতে পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এভাবেই সৃষ্টিকর্তা এ ধরার ভারসাম্য রক্ষা করে থাকেন ,এতে করে পৃথিবী আবার নতুন করে বাঁচতে পারে। নতুন প্রজন্ম নতুন পৃথিবীতে বসবাসের যোগ্যতা অর্জন করে। জন্ম যখন হয়েছে মৃত্যুর স্বাধ নিতেই হবে।জন্ম যতটা আনন্দ দেয় মৃ্ত্যু তার চেয়ে বেশী কষ্ট দেয়। এমন করোনা নামক সৈনিক আল্লাহ প্রদত্ত, কেউ বলে অভিশাপ আবার কেউ বলে মঙ্গলময়।এটা যেমন ঠিক তেমনি যার চলে যায় সেই বোঝে হায় বিচ্ছেদের কি যন্ত্রনা হারানোর কি যাতনা।
যাই হোক যে পরিবারের সদস্য এই মহামারীতে মারা গিয়েছে তাদের আমরা সবাই সমবেদনা জানাই আল্লাহর দরবারে সেই পরিবারের সদস্যদের শোক কাটিয়ে ওঠার তৌফিক দান করুন আমিন। এখন সারাদেশে আবার লকডাউন চলছে ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট এর কারণে আবারও মহামারী বেড়ে যেতে পারে সেই আতংঙ্কে। যার নাম কঠিন লকডাউন, এতে করে ছিন্নমুল আর মধ্যবিত্তরা কাজ বিমুখ হচ্ছে যারা দিন আনে দিন খায় তাদের ঘরে বাজার করার প্রয়োজনীয় অর্থও নেই খাবারের জন্যে বাজার করতে পারছে না ঘর ভাড়াও দিতে পারছে না। আমরা যেখানে থাকছি ইউএসএ। আমাদের স্টেইট গভর্নর খাবার নিরাপত্তার সাথে সাথে বাসা ভাড়ারও কিছুটা সময় নিরপত্তা দিয়ে যাচ্ছো, এখানে একটা সিস্টেমে চলছে তাই আমাদের মত সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি অনেক কম। ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়াও কিছুটা ঠেকিয়ে রেখেছে নিয়ম কানুন মেনে অনেকটা কঠিনভাবেই।
এখন নিয়ম শীথিল হয়েছে আমরা কমবেশী সবাই সচেতন বলে নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্যে নিয়ম মেনে চলছি।
আমাদের দেশের সাধারণ জনগনেরও ব্যক্তিগতভাবে কিছু কাজ করার আছে কাজ করা উচিত। তবে অনেকে অনেক সহযোগিতা করা শুরু করে দিয়েছে। এরই মধ্যে সে খবরও পেয়েছি ভালো খুব ভালো। যে যার জায়গা থেকে আমি অনুরোধ করছি আরও যাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত আমার আপনার মত সচ্চল পরিবারগুলো যদি নিজ হাতে কম করে হলেও পাঁচটা ছয়টা পরিবার ধরে ধরে আপনি, আমি একমাসের আর একজন আর এক মাসের খাবার কিনে দিয়ে গোপনে সহযোগিতা করি তাহলে মনে হয় খুব ভালো হয়।
প্রচার করে ছবি তুলে বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচার আর পোষ্ট দিয়ে মধ্যবিত্ত আর অভাবী পরিবারগুলোকে ডেকে এনে অপমান না করে সহযোগিতা করা উচিত। দান না বলে সহযোগিতা বলা উচিত। আজ ওরা না খেয়ে আছে অভাবে আছে আমারও কাল ওভাবে থাকতে হতে পারে সেটা শুধু মনে লালন না করে নিজের ভিতর ধারণ করে আল্লাহকে স্মরন করে যে যার জায়গায় থেকে কাজ করে যাওয়া উচিত, সহযোগিতার হাত আরও বাড়িয়ে দেয়া উচিত এভাবে হয়তো কিছু মানুষদের কিছুটা অভাব দুর করা যেতে পারে এই প্যানডামিকের সময়। আর এভাবে কাজ করার নাম হলো মানব ধর্ম।ভালো কাজ, এই ভালো কাজ করার জন্যে যদি আল্লাহ আমাদের মতন মানুষ নামের ফানুসগুলোর প্রতি দয়া করে এই মহামারী নামক অভিশাপ উঠিয়েও নিতে পারেন। হে আল্লাহ তুমি আমাদের তোমাকে সঠিকভাবে ডাকার পথ দেখিয়ে দাও দয়া কর আমাদের উপর। আমাদের ভুল পথ থেকে সরে দাঁড়ানোর পথ দেখাও দয়া কর আমাদের হে পরোয়ারদেগার। লেখক: আমেরিকান প্রবাসী
১ Comment
বাস্তবতার আলোকে সাজানো একটি লেখা,ধন্যবাদ লেখিকা