মন বাতায়ন
খান জান্নাতুল ফেরদৌস আলাপী (অপরাজিতা)
এখন বেলা বারটা বাজে সকালের নাস্তা খুব সকালেই খাওয়া হয় তবু বারটা বাঁজলেই কেমন যেন খিদে অনুভব হয়, কিছু খেতে খুব ইচ্ছে করে বিশেষ করে চায়ের একটা নেশা লাগে মা বাড়িতে থাকলেই মা চা তৈরি করে দেন পুরানো অভ্যাস। অথচ আজ মা নেই মা নানুদের বাসায় গেছেন আমি নিজেই চা তৈরি করেছি চা পান করবো এমন সময় কলিং বেঁজে উঠলো আমি দৌড়ে দড়জা খুলতেই তন্নি বলছে,কেমন আছিস তুই? আরে তন্নি এতোদিন পরে এলি? তোর সাথে কিছু জরুরী কথা আছে নীলা এবার আমরা দু বন্ধু মিলে চা খেতেখেতে কথা বলছি,তন্নি একটা গ্রামে গিয়েছিল বেড়াতে ও শিক্ষক একটা কলেজে আছে।ওর নতুন অভিজ্ঞতা আমাকে শেয়ার করবে বলে ছুটে এসেছে বলছে তুইতো সাংবাদিক কিছু একটা গল্প লেখ কাজে আসবে ভরাপরা ———
পৃথিবীর মানচিত্রে ভালোবাসা শব্দটি বড় বেশি জটিল আর কঠিন ঠিক তেমনই সহজ সরল, কে যে কখন কাকে ভালোবাসে ঠিক যেমন বোঝা যায়না আবার ঠিক তেমনই মানুষের মনে কইজন বাস করে তাও জানা যায় না। এই জটিল অধ্যায় এখন গবেষনায় পরিনিত হলো।যাকে ভালোবেসে এক ভদ্রলোক চোখে স্বপ্ন নিয়ে ঘর বাঁধলো তার একটা ছেলেও হলো তবু সেই ঘরে শান্তির থেকে অশান্তি বাসা বাঁধল, সংসারে অভাব ছিল বাট ভালোবাসায় কোন ঘাটতি ছিলনা, তবু তার স্ত্রী পরকিয়ায় জড়িয়ে যায় এটা প্রমাণিত হওয়ার পর সেই সংসার নরকে পরিনিত হলো লোকট সহ্য করতে না পরে লোকজন ডেকে শালিস বসালো স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে তার বাবা মায়ের হাতে বুঝে দিলেন।তবু কিছুদিন পর স্ত্রী কে ফিরিয়ে আনলেন আবার ভালোবাসলেন, তাদের আবার একটা ছেলে হলো এবার সেই স্বামী স্ত্রীর প্রতিশোধ নেবার জন্য আর একটা বিয়ে করলেন ঘরে আনলেন ছোট বৌ,এবার বড় বৌ সংসার ছেড়ে চলেগেলেন বাপেড় বাড়ি কিছুতেই মেনে নেবে না বড় বৌ সতিন।বাচ্চারা চলেগেছে বড় বৌয়ের মায়া ছাড়তে পারেনা বড় বৌয়ের একটা ওড়না নিয়ে ঘ্রাণ শুকছে, কতটা ভালোবাসলে ওড়নার ভাজে তার শরীরে গন্ধ খোঁজে তবু দুঃখের বিষয় সে ভালোবাসাটা মিথ্যে। ছোট বৌ বলল, যাকে এতো ভালোবাসেন তাকে শাস্তি না দিয়ে ক্ষমা করে দিতে পারতেন।রেগেগেলো কথাটা শুনে কারন সত্যি কথাটা কেউ সহ্য করতে পারেনা। এবার ছোট বৌ চলেগেল সংসার ছেড়ে কারন বড় বৌয়ের শোকে আর বাচ্চাদের মায়ায় সে এতো খারাপ ব্যবহার করলো যে ছোট বৌ সেখানে টিকতে পারল না।
এখন প্রশ্ন এই লোকটা যাকে ভালোবাসে আসলে কি সত্যিই ভালোবাসে?উত্তর হলো না। কারণ এখানে ভালোবাসাগুলো ঘৃণায় পরিনিত হয়েছে ঐ লোকটা এখন মানসিক রোগী হয়েগেছে তিনি এখন আর কোন নারীকেই ভালোবাসেনা নারী শুধু ব্যবহার করেন। তার অসংখ্য নতুন বন্ধু নতুন নতুন নারীর শরীর ভালোবাসেন। যে মন প্রতিশোধ পরায়ন হয় সেই মানুষটা খুব ভয়ানোক হয় এরাই পারে হাসতে হসতে নারীকে গলাটিপে মেরে ফেলতে।নারী হৃদয় নিয়ে খেলা করতে, নারীর জীবন নরকে পরিনিত করতে।এই সকল লোকদের কার্তিকের কুকুরের মত বিষ দিয়ে মেরে ফেলতে হয় তাহলে ভয়ানোক ব্যাধি নারী হত্যা নারী নির্যাতন রোধ হয়।একটা নারী অপরাধ করে প্রতিশোধ পরায়ন হয়নি বরং ক্ষমা চেয়ে সংসার শুরু করেছিল নতুন আর একটা সন্তানের জন্ম দিয়েছিল তবু তাকে শাস্তি দেবার কতো আয়োজন ছিল।অবশ্যই এখানে নারী দোষী আছেন।
তবে এখন প্রশ্ন হলো আপনারা হ্যাপি আছেনতো?
সুখটা হলো নিজের কাছে নিজে সুখ তৈরি করে নিতে হয়
কারো সাথে ছলনা করে কেউ কোনদিন জিতে যায়নি সে সকলের কাছে অবশেষে ঘৃণার পাত্র হয়ে যায় আর স্রষ্টা তার সময় মতো তাকে ঠিক শাস্তি দিয়ে দেন।কাউকে মন থেকে ভালোবাসুন সেখানে আল্লাহর রহমত থাকে, বরকত থাকে।
নোট: “আমার গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক যদি কারো জীবনের সাথে মিলে যায় লেখক দায়ী নয়, ধন্যবাদ সকলকে।”