ভালোবাসার রঙ কি আসলে বদলায়:
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চুটিয়ে প্রেম করে তারপর বিয়ে করেছিলেন তাহসান মিথিলা, দুজনের মধ্যে ভালোবাসার ছিলনা কোনো কমতি।
মিডিয়া জগত এবং সকল তরুন-তরুনীর কাছেই অনেকটা আইডল ছিলেন দুইজন।
অথচ এতো ভালোবাসার পরেও বিয়ের ১১ বছরের মাথায়,
তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়, আর কারণ হিসেবে দুজনের কথাই ছিল তাদের নাকি দুইজনের মিল হচ্ছিল না।
আসলে ভালবাসার রং বদলায় কারণে অকারণে।
একবার সুবর্ণা মোস্তফার সাথে তুমুল ঝগড়া হয়েছিল হুমায়ুন ফরিদের।
সেই রাতে রাগ করে তারা দুইজনে একসাথে ঘুমাননি, সুবর্ণা মোস্তফা অন্য একটি কক্ষে গিয়ে দরজা আটকিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
সকালে ঘুম থেকে বাহিরে এসে দেখেন যে কক্ষে দুইজনের ঝগড়া হয়েছিল।
সেই কক্ষের মেঝেতে সব জায়গাতেই একটি কথায় লেখা সুবর্ণা আমি তোমাকে ভালোবাসি।
দুজনের মধ্যে এতো ভালোবাসাও ঠেকাতে পারেনি তাদের বিচ্ছেদ।
2008 সালে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
কারণ ভালোবাসার রং বদলায়, কারনে অকারনে।
জীবনানন্দ দাশ লিখে ছিলেন, নক্ষত্রেরাও একদিন মরে যাবে ।
এই জীবনানন্দ দাশ কে, প্রথম দেখেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন লাবণ্য প্রভা।
সাহিত্যের কাছ থেকে যোজন যোজন দূরে থেকেও, সাহিত্যের ইতিহাসের প্রজ্বলিত উজ্জ্বল নক্ষত্র।
এই লাবণ্য বিয়ের কিছুদিন পরেই মনে হচ্ছিলো যে তার স্বাধীনতা হারিয়ে যাচ্ছে।
মুক্তির নেশায় দুর্বিষহ হয়ে তিনি পাগল হয়ে যাচ্ছিলেন, এলোমেলো হয়ে ওঠে দুজনের জীবন, আর এভাবেই তাদের ভালোবাসার এক সময় মৃত্যু হয়।
মাত্র ক্লাস টেনে পড়া অবস্থায় বড়লোকের মেয়ে গুলতে গিল হুমায়ূন আহমেদ কে তিনি বিয়ে করে ফেলে ছিলেন ।
বিয়ের পর তিনি জানতে পেরেছিলেন গল্প আর কবিতা হুমায়ুনের বাস্তবের হুমায়ুনের তেমন কোনো মিল নেই।
বাস্তব জীবনে হুমায়ুন ছিলেন একদমই সাধারন একজন মানুষ।
তার মধ্যে ছিল না আহামরি কোনো কিছু, অন্য আর দশটা ছেলের মতোই সাধারণ ভালোবাসা ছিল তার।
আর নিজের মনের মতন না হওয়ায়, গুলতেকিন অনেকটা আক্ষেপ নিয়েই হুমায়ূনকে বলেছিলেন ।তোমার লেখায় ভালো অন্য কিছু ভালো না !
আসলে ভালবাসার রং বদলায় কারণে অকারণে।
নন্দিতা রায়ের বেলাশেষের সিনেমায়, এই কঠিন ব্যাপারটা খুব সহজভাবে বোঝানো হয়েছে ।
হাতের উপর হাত রাখা খুব সহজ, সারা জীবন বইতেপাড়া সহজ নয়।
সহজ না হওয়ার কারণ ওই একটাই, ভালোবাসার রং বদলায় কারণে অকারণে।
আসলে প্রেম ভালোবাসার সহজলভ্যতা এই পৃথিবীতে সবথেকে বিরল দুটি জিনিস মনের মানুষ এবং মানুষের মন।
এই দুটো এর উপর বিশ্বাস থাকা ভালো উচিতো বটে তবে সেটা কেবলি নিজের মধ্যে।
কখনো অতি আত্মবিশ্বাসী না করে বড়াই দেখানো ভালো নয়।
কারন হাওয়ার দিক পরিবর্তন হয় কখন কোন দিকে বয়ে যায় সেটা সর্বদায় অনিশ্চিত। হোক সেটা প্রকৃতির হাওয়া বা মনের।
আসলে ভালবাসার রং বদলায় কারণে অকারণে।
Source: FB