বেদনার কোরাস
আফলাতুন নাহার
আমায় একা ফেলে চলে গেলে
সুখের খোঁজে!
সুখ!!!
সুখী হতে কতকিছু লাগে বলতে পারো?
এত এত পৌষ গেছে, বসন্ত গেছে
ফিরে আসোনি!
শৈশবের বারান্দায় দাঁড়িয়ে খুঁজেছি তোমায়
কৈশোরের কুয়াশার আঁধারে আক্রান্ত পাহাড়ের শীর্ষে খুঁজেছি তোমায়!
জলপাই ফলের রঙে রঙিন শহরের গলিপথে খুঁজেছি তোমায়!
যৌবনে সন্চিত স্বর্ণমুদ্রার বাক্সের ভিতরে খুঁজেছি তোমায়!
আক্ষেপ-তাড়িত কবিতার জীবদ্দশায় খুঁজেছি তোমায়!
মৃত্যর কাছে নিজেকে সমপর্ণ করে প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ খুঁজেছি তোমায়!
তবু বলিনি সুখ চাই!
সুখের খোঁজে যাইনি কোন আনন্দিত আতংকে ভরা আবেগীয় পরিমন্ডলে!
অপেক্ষার শহর, এ শহর থেকে অন্য শহর,,,
কেবলই পাথর!
কবিতার শব্দ আজ নিথর,
গানের সুর আজ বেসুর,
করতলে পায়রার জন্য রাখা দানাগুলোও পাথর!
নৌকার বহরে পতাকাবাহী মিছিলে এখন দীর্ঘকালের অব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্রের সুর।
শহরকে পবিত্রতার আঁচলে ঢেকে রাখা হচ্ছে তোমার আগমনের জন্য,
জানালার শুভ্র পর্দায় কুরুস কাঁটায় বোনা ‘স্বাগত’ শব্দটি অনুকূল বাতাসের সাথে উড়ছে,
আমিও নির্বাক চেয়ে মখমল গালিচায় হাত রেখে তোমার পদচুম্বনের অপেক্ষায়!
জানি না সুখের পালকি থেকে তুমি নেমে আসবে কিনা,
প্রেয়সীর দল, সুখের বহর, পরিণত পায়রার ঘুঙুরের শব্দ তুমি ভুলতে পারবে কিনা!
জীবন ও স্বাধীনতার নোঙর পাড়ি দিয়ে তীরে পৌঁছবে কিনা!
আসলে সুখ নামের শব্দটি বড়ই স্বেচ্ছাচারী!!