একটি শরৎ ভোর
বেগম ফিরোজা খান
শরৎ ভোরের আগমন
প্রাণে নব ঝঙ্কারে ছুটছে মানুষ অগণন।
চারিদিকে পাখির কলরব;
যেন মুখরিত সব।
আকাশটা মেঘলা মেদুর
মনটা বেদনায় বিধুর;
একাল সেকাল উচ্চাভিলাসীরা,
নাক উঁচিয়ে হাসে নিতান্ত;
হাজারো দরিদ্র ও সহজ সরল মানুষের,
সব সময়’ই করুণ জীবন বৃত্তান্ত।
কে যেন গাইছে গান,
রাখালিয়া মেঠো সুরে মিষ্টি ভারী;
প্রভাত সূর্যের আগমনে
মনটা যেন সুরেলা হোলো পরশে তা’রি।
সব শিশুর’ই জীবনে আসুক
সোনালি সবুজ চেতনার দিন ।
সকল পুরাতন জ্বরাজীর্ণ নাশি,
ক্রমে যেন হয় বিলীন।
রাতের অন্ধকারকে প্রভাত সূর্য দিয়েছে মুক্তি
সব ঝিনুকেই থাকে না সুক্তি;
বিলের মাঝে পদ্ম পাতায় ভরা
ভিড় করেছে বিলের ধারে মাছ ধরার নেশায় যারা!
মাছ রাঙারা উড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ;
মাছ ধরবে হাওর বিলের বাঁকে বাঁকে।
বাজপাখি উড়ছে নীলাকাশে;
বড় মাছটি তার চোখের মণিতে ভাসে!
কোয়াক ডাকে কচুরী পানার আড়ালে;
বিলটাকে যেন মায়াবী প্রাণে জড়ালে !
লাল পদ্ম,নীল শাপলা ঝিরঝিরে বাতাসে দোলে
শোভা বর্ধন করছে সবই বাংলা মায়ের কোলে।
প্রভাত সূর্যের আগমনে ছন্দের গন্ধে প্রাণে সঞ্চার;
ধ্যানমগ্ন রাত্রি শেষে কেটে গেল প্রাণ বহ্নি অন্ধকার।
হে বসুন্ধরা! এত ঐশ্বর্যের অধিকারী তুমি !
হেরিলাম অনন্য! আ – মরি বাংলা ভুমি !
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট – বাংলাদেশ
১ Comment
very good; congratulations.