বার্ধক্য
যুথিকা জ্যোতি
ধূপের মতো পুড়তে পুড়তে
কাটবে সারা জীবন
অচল হয়ে পড়বে দেহ
থাকবে না আর যৌবন।
জীবন মেলায় পেরুলে সাঁঝ
পড়বে চামড়ায় ভাঁজ।
শরীরে ধরবে বাতের ব্যথা
মুখে জড়াবে বললে ক্থা।
ধরবে পাক মাথার চুলে
কখন কি খায় সব যাবে ভুলে।
লাগবে চোখে সবই আবছা
পড়লে শাড়ি বলবে গামছা।
অচীরে আসবে খাবারে অরুচি
মুখে দিলেই করবে শুরু হাচ্চি।
খাবারের চেয়ে ঔষধ হবে বেশী
সময়ে না খেলে চলবে সমানে কাশি।
চারিদিকে মিলবে শুধু অবহেলা
কটুবাক্যে কাটবে সারাবেলা
অশ্রু বন্যায় ভাসবে চোখ
করলে নালিশ লাগবে যোক।
অপমানে ভাঙ্গবে বাঁধন
হারানো স্মৃতি করবে রোমন্থন
সঙ্গী বিয়োগ হবে যখন
দেবে না কেউ সাথ
চোখ রাঙিয়ে পুত্রবধূ
দেখাবে শূন্য রাজপথ।
অনুভবে থাকবে লুকিয়ে
অন্তরের ভালোবাসা
হাজার করেও পাবে না কিছু
কেঁদে মরবে অভিমানের ভাষা।
একে একে হারাবে সব
থাকবে না কেউ সনে
একাকিত্বে সকাল বিকেল
কাটবে দিন গুনে।
এসেছ একা যাবেও একা
ভাই-বন্ধু সব পথের দেখা
গেলই শুধু আমার আমার করে
যাবে না কিছুই সঙ্গে করে
বিরহ নয় অনুতাপ নয়
শুধু একান্তে ভালোবাসো নিজেরে।
দুদিনের এই পৃথিবী
শুধুই মায়া মরীচিকা
হাত বাড়ালে সবই শূন্য
নিজেই খাবে ধোকা।
করবে শেষে আরাধনা
স্বর্গ লাভের আশায়
জীবন প্রদীপ নিভে গেলেই
দেবে সকলে জলে ভাসায়।
~~~~~~~~~~~~~~~~~
টরোন্টো, কানাডা
০৬/০১/২০২৩
৪ Comments
অসাধারণ প্রকাশ ভঙ্গি।সত্যটাই উঠে এসেছে কবিতায়।চলুক।
ধন্যবাদ মা, আ, কুদ্দুস পদ্মা।
অনেক ভালো লাগলো পাঠে
ধন্যবাদ সালাউদ্দিন মেহেদী।