বাঙালির দেশ বিক্রি হয়ে গেছে মননে মগজে।
।।শেখর সিরাজ।।
ফেসবুকে কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে, আয় করা যাবে। ফেসবুকে শুধু লেখা যাবে না, ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক বিষোদগার করা যাবে, শুধু তাঁর প্রতিবাদ করা যাবে না। ফেসবুকে পৃথিবীর তাবৎ অপকর্ম করা যাবে। শুধু সুস্থ প্রগতিশীল মনন মেধার অসাম্প্রদায়িক সুন্দরের চর্চা করা যাবে না।
বারণ, নিষেধ, নিষিদ্ধের সীমারেখা টানতে টানতে বাঙালি তরুণ প্রজম্ম এখন কানা, বধির, খোঁড়া প্রজন্ম। কানা, বধির, খোঁড়া প্রজন্মের কাজ নাই তো খই ভাঁজ। কাজ তো কিছু করে, গরুর মতো সারাদিন ধর্মান্ধের জাবর কাটে।
কেন বলছি? বলছি এ কারণে-
বাংলাদেশের সরকারী উচ্চ পদ পদবীতে কোনো ভিন্নমতাবলম্বী সম্প্রদায়ের লোকজন পদায়ন হলে দেখবেন কিছু স্বগোত্রীয় বরাহ্ শাবক ফেসবুকে এসে জ্বালাময়ী বক্তব্যে লিখবে, বাংলাদেশকে বিধর্মী রাষ্ট্র বানানোর একটি আন্তজার্তিক গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।
বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য করার পায়তারা, ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগ র-এর এজেন্ট বাংলাদেশকে পরিচালনা করে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের সকলেই প্রায় বেশির ভাগ সনাতন ধর্ম সম্প্রদায়ের লোকজন।
প্রথম কথা রাষ্ট্রের কোনো ধর্ম হয় না, রাষ্ট্র একটি ইহলৌকিক বস্তুবাদী সংগঠন, প্রতিষ্ঠান।
সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মের আধিক্য লোকজনের ফান্টামেন্টাল আবেগের ভাববাদী দর্শনের নাম ধর্ম। ধর্ম একটি একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়, ঈশ্বরের সাথে বান্দার ব্যক্তিগত বিশ্বাসের সংযোগ। তাতে শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে না, বিশ্বাস ও ভক্তি ঈশ্বর আরাধনার প্রথম ও প্রধান উপজীব্য উপাসনা।
রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক নাগরিকদের। বিশ্বাসের সাথে সম্পর্ক ধার্মিকতা পর্যন্ত, আর নাগরিকতার দৌড় বহুবিধ অধিকার পর্যন্ত।
কারও সমালোচনা করার আগে বেশির ভাগ লোকজন শিক্ষা ও যোগ্যতা বিবেচনায় রাখে না। শিক্ষা, যোগ্যতার কোনো ধর্ম হয় না, দক্ষতা বিশেষিত কাজে বিশেষজ্ঞ হওয়ার পরেই পদ পদবীর পদায়নের মর্যাদা পায়। রাজনৈতিক তদবির, নিয়োগ বানিজ্য, স্বজনপ্রীতির কারণে পদ পদবীর পদায়ন সমালোচনা, আলোচনা থাকতে পারে তা ভিন্ন আঙ্গিকের আলাপ।
যৌক্তিক সমালোচনা আর কারও প্রতি শুধু ভিন্ন ধর্মের সম্প্রদায়ের লোক হওয়ার কারণে ভৌতিক বিষোদগার করা কী কোনো সুস্থ মানুষের আচরণ হতে পারে?
শুধু ভিন্নধর্মাবলম্বী বলে কথা না, যে কারও প্রতি যৌক্তিক আলোচনা ও সমালোচনা করার আগে নিজের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, মেধা মননের দিকে একটিবার তাকিয়ে দেখেছেন?
থু থু উপরের দিকে ছুঁড়ে ফেললে সবার আগে নিজের শরীরের দিকে আগে এসে পড়ে। নিজের স্কিল দক্ষতার উন্নতি না করে অন্যের বিষোদগার সমালোচনার আটকে থাকলে নিজের জীবন ঘুণচক্করে আটকে যাবে না?
বাবা মাছ চাষের খামারি, আজীবন মাছ চাষ করেই সংসারের ভরন পোষণ করেছেন, ছেলে মেয়েদের আধুনিক শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত করেছেন। শিক্ষিত ছেলেমেয়ের কাছে মাছ চাষী বাবা এখন অপমান অবহেলায় অপাঙ্গেয়। কেন? মাছ চাষী বাবার পরিচয় দিতে উচ্চ শিক্ষিত সন্তানদের এখন ভীষণ লজ্জা লাগে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সব হওয়ার সুযোগ দেয় শুধু উন্নত চিন্তা সংস্করণে সংবেদনশীল মানুষ হয়ে উঠার সুযোগ দেয় না। গাছ থেকে ফুল ছিঁড়ে ফুলদানি সাজিয়ে রাখা বিকৃত সৌখিনতা, স্থিতিশীল জীবন নয়।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এখানে সব থেকে বেশি মার খেয়েছে, সামন্তবাদী ট্যাবু ভাঙ্গতে পারেনি, বরং সামন্তবাদী ট্যাবুকে পুঁজিবাদী বানিজ্যকরণ করা হয়েছে, আগে মানুষ দাস বিক্রি করত, এখন মানুষ শিক্ষা বিক্রি করে। সামন্তবাদী বনিক প্রভুরা শ্রম শোষণ করত, এখন পুঁজিবাদী শিল্প মালিকেরা মানুষের মস্তিষ্ক শোষণ করে। সামন্তবাদের উন্নত সংস্করণ পুঁজিবাদ।
শিক্ষার প্রথম উদ্দেশ্য জীবন জগতকে জানা, ভালো-মন্দের যাচাই বোধ উপলব্ধি করা, সর্বশেষ জীবনকে সেই ভাবে পরিচালনা করা। কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা তাঁর বিপরীত পশ্চাৎপদ সংকীর্ণ মানসিকতার মানুষ তৈরি করে। মস্তিষ্ক শোষণ তৈরি করে পুঁজিবাদী ভোগবাদীতা, তৈরি করে অসম প্রতিযোগিতা।
শিক্ষিত মেধা মনন আর আধুনিক প্রযুক্তির সমন্নয় করে বৃদ্ধ বাবার খামারটি আরও বড় এবং আধুনিকয়ান করা যেত না? তাঁর দুইগুন, তিনগুন উৎপাদনে যাওয়া যেত না?
অনার্স মাস্টার্স পাস করে কী এমন স্কিল অর্জন করলেন? যে মানুষ আপনাকে ধরে বেঁধে শুধু শুধু ৫০/৬০ হাজার টাকা বেতন দিতে যাবে?
শুধু স্কিল নাই বলেই অনার্স মাস্টার্স পাস করার পরেও আপনি বেকার, চাকরির উম্মেদারিতে দিন রাত পায়ের তলা চটি ক্ষয় করছেন।
যার জন্যই দক্ষ অভিজ্ঞ যোগ্য ভিন্নমতাবলম্বী লোকবল নিয়োগ দেওয়া লাগে, পদ পদবীর পদায়ন করা লাগে, বিদেশ থেকে মোটা অংকের বেতন দিয়ে উচ্চ পেশাজীবি অভিজ্ঞ লোকবল ভাড়া করতে হয়। আমাদের অভিবাসী শ্রমবাজারে লোকজন বিদেশে যেয়ে কী করে? আর বিদেশি লোকজন আমাদের দেশে এসে কী করে? দেখতে পান না?
আর তাকে বলছি উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়ন রোল মডেল, জ্ঞানভিত্তিক মানব সম্পদের উন্নয়ন না হওয়া পর্যন্ত, টনটনে আত্মমর্যাদাশীল জাতি গঠন না হওয়া পর্যন্ত একটা দেশের সত্যিকারের উন্নয়ন ঘটে না, অপরিকল্পিত নগরায়নকে উন্নয়ন বলছে, ইট পাথরের আবর্জনাকে উন্নয়ন বলছেন? হ য ব র ল প্রবৃদ্ধিকে দিয়ে মাথাপিছু আয়কে মাধ্যম আয়ের দেশ বলে সংজ্ঞায়িত করছেন। নিউ লিবারেল অর্থনীতির এই এক উচ্চ বিলাসী সুবিধা- কাজীর কিতাবে গরু সব সময় থাকে। গোয়াল ঘরের হিসাব শুভংকরের ফাঁকি।
ধর্মের রঙিন চশমা পড়ে দেখলে এসব স্পষ্ট তফাৎ বুঝতে পারবেন না। শুধু সাম্প্রদায়িকতার টক দইয়ের মতো টক লাগবে।
আপনি যে শিক্ষিত গর্দভ মুর্খ, শুধু তাঁর জন্যেই নিজের দুর্বলতা স্বীকার না করার প্রবণতা। মাদ্রাসা পড়ুয়া কিশোরদের মতো বাংলার উচ্চারণ ঠিক নাই, ইংরেজিতে আমতা আমতা। প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষিত হওয়ার সনদ থাকার পরেও আপনি কেন বেকার? মনের ভিতর প্রশ্ন জাগে না?
আর সেই আপনি শুধু ধর্মের জাবর কেটে পৃথিবীর তাবৎ সমস্যার সমাধান করে ফেলবেন? আপনি তো নিজের ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধান করতে পারেন না। লোকে কী বলবে ভেবে চোখের লাজ লজ্জায় নিজের জমির হাল ধরতে পারেন না?
ভারী শিল্প কারখানার হাল ধরবেন কোন সাহসে? ইউরোপ আমেরিকার হোটেল রেস্তোরাঁর থালা বাসুন ঘষা মাজা করতেও আপনার কার্পণ্য লাগে না, লজ্জা লাগে না? নিজের দেশের নিজের জমির হাল ধরতে এত লজ্জা?
এখানে দুটি কথা বলা প্রয়োজন, বাংলাদেশ স্বগোত্রীয়-ধর্মীয় কোনো রাষ্ট্র না, রাষ্ট্র সংবিধান ঘোষিত ও সু-স্পষ্ট করে লেখা আছে বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। সব ধর্মের, সব বর্ণের, সব জাতি গোষ্ঠীর, সম্প্রদায়ের দেশের নাম বাংলাদেশ।
তাহলে প্রশ্ন থাকে, যা সংবিধান ঘোষিত, স্বীকৃত ও কোনো প্রকার আইনী প্রতিবন্ধকতা না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশকে ভিন্নমতাবলম্বী রাষ্ট্র বানানোর একটি আন্তজার্তিক ষড়যন্ত্রের অংশ কিভাবে হয়?
আন্তজার্তিক ষড়যন্ত্রের কথা যদি বলেন, তবে বাংলাদেশ সরকার নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের রাজনীতি বাংলাদেশে বৈধতা পায় কী করে? যার প্রধান দপ্তরিক কার্যালয় পাকিস্তানে। আপনাদের কাছে তাঁর কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা আছে?
দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রশাসনিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রথান কার্যালয় দেশের বাইরে। যে পাকিস্তান একাত্তরে যুদ্ধাপরাধ করেও এখনো বাংলাদেশের কাছে রাষ্ট্রীয় ভাবে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চায় নাই, বাংলাদেশ রাজনৈতিক বা কুটনৈতিক ভাবে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করতে পারে নাই সেই পাকিস্তান রাজাকার যুদ্ধাপরাধী মৃত্যুতে জাতীয় পরিষদের সংসদ অধিবেশনে শোক প্রস্তাবের বিল পাশ করে। তাঁদেরকে শহীদ বলে ঘোষণা করে। যাদের পাঠ্যপুস্তকে একাত্তরের স্বাধীনতাকে ভারত পাকিস্তানের গন্ডগোল বলে পড়ানো হয়।
সেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি কথা বলার সাহস বাংলাদেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজন রাখে না। সেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আচরণ নিয়ে কথা বলতে গেলে ভারতের দালাল উপাধি দেওয়া হয়। আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ তবে কী পাকিস্তানের কল্পিত ভাবাদর্শের বাংলাদেশ? ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয়েছে, শাসনের হাত বদল হয়েছে কিন্তু শোষণের চরিত্র সেই একই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদ চিন্তা চেতনা থেকে যে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। সেই বাংলাদেশ আজকের সম্প্রীতির বাংলাদেশ না, আজকের বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িকতার বাংলাদেশ, গোঁজামিল, জোড়াতালির বাংলাদেশ।
যদি কখনো মগের মুল্লুক না দেখে থাকেন তবে আজকের বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন। ধান্ধাবাজদের দৌরাত্ম্যে বাংলাদেশ এখন ঠক বাজার। যা ছিল তাঁদের মননশীল ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতির ধারক ও বাহক, টনটনে আত্মমর্যাদাশীল জাতি গঠনে যা ছিল প্রধান সহায়ক, বাংলাদেশের উর্বর মাটির মতো এখানে ছিল উর্বর সংস্কৃতি ও নৃতাত্ত্বিক পরিচয়। তাঁর চর্চা বিকাশ বিশ্ব দরবারে যা বয়ে নিয়ে আসতে পারত আন্তর্জাতিক মানের সম্মান। নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, লালনের দেশে কী নেই? জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান যে দেশের নেতা সে দেশের জনগণই তো এক একজন ভবিষ্যত বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা হওয়ার কথা। তাঁর আদর্শের চর্চা নাই, এক বিজাতীয় সংস্কৃতি আগ্রাসনে সব এখন ধ্বংসের মুখে। হেনরি কিসিঞ্জার সেই তলাবিহীন ঝুড়ি।
রাষ্ট্র নাগরিকের ব্যক্তি জীবন থেকে জাতীয় জীবনে শুধু ঠক বাজদের চর্চা। শুধু সংবিধানের লঙ্ঘন। সংবিধান লঙ্ঘন কী ফৌজদারি অপরাধ না? তাঁর সমালোচনা করা কী তার থেকে বেশি অপরাধ?
একাত্তরে সালে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি তল্লাশি করে না পেয়ে রাজাকার ও হানাদার বাহিনী তাঁদের মা বোনদের ধরে নিয়ে অকাট্য নির্মম বর্বর নির্যাতন করতেন। এখন সমালোচনার অপরাধে, লেখার অপরাধে কারও কারও বৃদ্ধ বাবা মা’কে সাদা পোশাকের পুলিশ বাহিনী বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। স্বাধীন দেশের একি নির্মম বর্বরতা?
বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলা উপন্যাসে- নবকুমারের উদ্দেশ্যে কপালকুণ্ডলা বলেছিল, পথিক তুমি পথ হারাইয়াছো? বাংলাদেশ তাঁর নিজস্ব পথ হারিয়েছে পঁচাত্তরের এর পরবর্তী সময় থেকে আজ অব্দি। ছেলেবেলায় আমরা প্রায় শুনতাম, আওয়ামিলীগ যদি কখনো ক্ষমতায় আসে তবে ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করে দিবে। মসজিদে আযান দেওয়ার পরিবর্তে উলু ধ্বনি শোনা যাবে। আওয়ামিলীগ বিরোধী শিবিরের লোকেরা এমন হাজারো প্রপাগাণ্ডা চালিয়েছিল। সে সমস্ত প্রপাগাণ্ডা আওয়ামিলীগের বিরুদ্ধে আগেও ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
পঁচাত্তরের এর পরের পরবর্তী প্রায় কুঁড়ি বছর পরে আওয়ামিলীগ প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসে। তারপর? দেশ বিক্রি কী শুধু দেশের জমি বিক্রি? নাকি প্রশাসনিক ক্ষমতা বিক্রি করে দেওয়া? খদ্দের হিসাবে শুধুই ভারত? নাকি ভারত শুধু ভারত বিদ্বেষ থেকেই এই হিপোক্রেসি? এসমস্ত প্রপাগাণ্ডা? পাচারকৃত লুটেরার টাকা ভারত না গিয়ে শুধু সুইস ব্যাংকে যায় কেন?
বুর্জোয়া পেটি বুর্জোয়া ধনীক লুটেরার পাচারকৃত টাকা কেন দেশ বিক্রি তকমা পায় না? রাষ্ট্রদ্রোহীতার তকমা পায় না? মাছের পচন ধরে মগজ থেকে, শেষ হয় লেজে গিয়ে, বাঙালির পচন ধরেছে মাথা থকে পা অব্দি। বাঙালির দেশ বিক্রি হয়ে গেছে মননে মগজে।