১১৪ বার পড়া হয়েছে
ঢাকাইয়া ছড়া সিরিজ–০২
লুৎফর রহমান রিটন
০১.
নাম যদিও ‘আলী’ কিন্তু
সবাই ডাকে ‘আইলা’
বেলে মাছের ঝোল খায়া কয়–
‘বাইলা’ এইটা ‘বাইলা’!
রেস্টুরেন্টে চা খায় হালায়
পিরিচটাতে ‘ঢাইলা’!
চেইতা গেলে ভাইঙ্গা ফালায়
পাতিল, মানি ‘পাইলা’!
০২.
এক যে পোলা ঢাকাইয়া,
যা-ই দেখে সে অবাক হইয়া
কেবল থাকে তাকাইয়া।
কথা কয় সে জ্ঞেনির লাহান
বাবড়ি মাথা ঝাঁকাইয়া।
সহজ কামেও গিট্ঠু লাগায়
ঝুট-ঝামেলা পাকাইয়া।
পুলিশ দ্যাখলে ঘাবড়ায়া যায়
দিশাবিশা না পাইয়া–
উলটা দিকে লৌড় পারে সে
অল্লিগল্লি কাঁপাইয়া!
পুলিশ তারে ধরার লিগা
জিপগাড়িটা হাঁকাইয়া–
পিছন পিছন যাইতে থাকে
হাতের লাঠি বাঁকাইয়া।
কিন্তু পোলা ঢাকাইয়া–
পলান দিয়া ড্রামের ভিত্রে
চক্ষু দুইটা পাকাইয়া
বইয়া থাকে, না খাইয়া!
০৩.
তুমি——-পুরান ঢাকার মাইয়া
আমার—–বুকের মইধ্যে উথাল-পাথাল
তোমার দিকে চাইয়া।
রূপে তোমার দিওয়ানা হাম মুহাব্বাতের নাইয়া
উপ্তা হয়া পইড়া থাকি বিরাট টাস্কি খাইয়া!
তুমি——পুরান ঢাকার মাইয়া
আমি—–ফাঁইসা গেছি গেরাম থিকা
পুরান ঢাকায় আইয়া,
তোমগো চোখে যদিও আমি গেরাইম্যা আর গাইয়া
পূণ্ণিমা চান পাইছি হাতে তোমার দেখা পাইয়া।
তুমি——পুরান ঢাকার মাইয়া
আমার—–দিল পেরেশান আয় মেরে জান
সাঁইয়া মেরে সাঁইয়া
ঘুম আহে না নিশি জাগি প্রেমের গানা গাইয়া।
তোমার লগে চইলা যামু প্রেমের তরী বাইয়া।
তুমি——পুরান ঢাকার মাইয়া
আমার—-মুহাব্বাতের স্বীকৃতি দেও
ডাইকো না গো ‘ভাইয়া’!
ছ্যাঁক যদি দেও ঈমানে কই তোমগো বাড়িত্ যাইয়া
তোমার লিগা মইরা যামু বিষের বড়ি খাইয়া!
০৪.
আব্বে হালায় ব্যাপার কিরুম খাপছাড়া
কেটলি থিকা চা খায় হালায় কাপ ছাড়া!
পিরিচ ও নাই? গেলাস ভি নাই?
হালারজানা কাউঠা!
শরম পায়া হাম্বা গানা গাইতে আছে ‘COW’টা!
০৫.
বাপ দাদারা আদর কইরা রাখছিলো নাম-কালু।
মায় ভি খুশি খালায় খুশি এবং খুশি খালু।
কালে ক্রমে ব্যাপার কিরুম আউলা!
কালু অহন কাউলা!
রচনাকাল/ অটোয়া ২৫ জুলাই ২০১৭
[আলোকচিত্র/ ইয়ার মোহাম্মদ পিয়ারু]