নিরক্ষরের অক্ষর জ্ঞান
মুহা্ম্মাদ কিবরিয়া বাদল
ক.
অক্ষ থেকে অক্ষর পাই বর্ণে রঙীন ধূপ
অক্ষ থেকে সরে গেলে বর্ণের কিবা রূপ!
বিশ্ব ঘুরে অক্ষ পরে কক্ষে করে ভ্রমন
তার ভেতরে যা আছে তা ঘটায় অনুরণন।
অক্ষ থেকে সরে গেলে কক্ষ ছন্নছাড়া
বর্ণ কিহে আলো দেবে অক্ষ-কেন্দ্র ছাড়া?
সব কিছুরই কেন্দ্র থাকে অক্ষ সবাই বলে
ভাষার অক্ষ হয় অক্ষ’র যাতে শব্দ দোলে।
অক্ষর যবে অক্ষ’র লিখি,হয় যে অক্ষএর
শব্দ ভাষা বর্ণমূলেই দেয় যে সাক্ষ্য ফের!
সকল অক্ষ’ই একটি করে বর্ণ ধারণ করে
সকল বর্ণের যুথবদ্ধকে কয় বর্ণমালা ওরে।
বর্ণমালার বর্ণ ছিঁড়ে শব্দ লিখি কথার ছলে
বাক্য সাজাই ভাব প্রকাশে বর্ণের অক্ষমূলে!
ভাষাও যদি অক্ষ ছেড়ে বক্ষে ধারণ করি
সেই ভাষাকে ঐতিহ্য বলতে কিসে পারি?
মুখের কথার উচ্চারণে হয়না অক্ষ নির্ধারণ
অঞ্চল ভেদে জনে জনে, হবেই ব্যতিক্রম।
ভুল বলাকে শুদ্ধ করতে অক্ষর করে বিদায়
স্বরযন্ত্রকে হেলা করে হায় শুদ্ধ কোথা পায়?
স্বরযন্ত্রকেই আনতে হবে বর্ণমূলে ওহে
নইলে ভাষা বেহাত হবেই ষড়যন্ত্রে হে!
বলিনা তাই বলবো না এমন কথা মানায় না
বলতে হবে অক্ষ’রমূলে হোক সে সাধনা।
খ.
নিরক্ষরের অক্ষর দান
কেমন ছিলো তাঁদের জ্ঞান!
ছবি এঁকে চিহ্ন গড়ে
অক্ষমূলে ধ্বনি মেপে
স্বরযন্ত্রের ব্যবহারের
নিখুঁত পরিমাণ!
আজ আমরা স্বাক্ষর বটে
ভুলে গেলাম সেই অবদান!
ইচ্ছে হলেই হটিয়ে দিচ্ছি
সরল করার গাইছি গান??
এসো কন্ঠ সেধে কন্ঠে তুলি
ঐক্যতানে মায়ের বুলি
অক্ষমূলেই বলবো কথা
শুদ্ধ করি চারণ-কলি।
নিরক্ষরের অক্ষর জ্ঞান
মানতে হবে ভাষার প্রাণ
তবেই ভাষা ঐতিহ্যের
থাকবে হয়ে চিরঅম্লান।।
“”””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
রচনাঃ ২৯ভাদ্র১৪২৯বঙ্গাব্দ। ১৪সেপ্টেম্বার২০২২খৃস্টাব্দ। হালিশহর চট্টগ্রাম।।
১ Comment
অসাধারণ।