শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস
পাহাড় ঘেরা সুজলা সুফলা আমার জন্মভূমি।
জন্ম আমার তোমার কোলে–
বার বার তোমার চারণ চুমি।
দুইশত বছরের পরাধীনতার শিকল ভাঙতে কত গেল তাজা প্রাণ,
সেই পরাধীনতার ভাঙতে শিকল করছে কঠিন সংগ্রাম।
এত রক্ত এত সত্ব এখনো তো প্রাণে বাজে,
কি বাঁধিব আমি বার বার রুখিবার সাধ জাগে।
ছল ছল চোখে দেখি শুধু পানে বিধি কি এই বিধান
মানি না সেই বিধান!
কঠোর হস্তে ধরিব আমরা বাঁধন হারা সংগ্রাম,
কত তরুন ছাত্র কৃষক শ্রমিক প্রাণ দিল অকাতরে
তাজা রক্তে কত হলো মায়ের বুক খালি
কত নারীর দিল নিজের ইজ্জত তা কি
এত সহজে ভুলতে পারি?
১৪ ডিসেম্বরে রাতে বেলায় কত শিক্ষক, ডাক্তার জ্ঞানী গুণী বুদ্ধিজীবি নিয়ে গেল ধরে–
বাঙালি জাতিকে মেধা শূন্য করা তরে!!
হায়েনা কি চিনিত আমাদের বুদ্ধিজীবিদের,
এত সব চিনিয়ে দিয়েছে বাঙালি রাজাকার আল বদর বাহিনী,
আমরা কি ভুলতে পারি!!!
শিউলী বকুল গোলাপ কত ফুল ফোটে এই মাটি তরে,
আবার কিন্তু না ফোটা কলিরা ঝড়ে যায় অনাদরে।
পুস্পে পুস্পে মধু আছে বলে অলি এসে ভিড় করে্
তেমনি ভাবে সুযোগ সন্ধানী ভিড়ে যায় সরকারী দলে।
সুজলা, সুফলা শস্য শ্যামলা জমিতে ফাটল ধরে জলে অভাবে
শস্য শ্যামল ফুলে ফলে ভরে ছিল একদিন এই মাঠে।
আজ কেন? এত হা হা কার অভাব অনটন আমাদের চারি ধারে,
রক্তের সাথে বেঈমানী করে সভ্য আর নামধারী ভন্ডদলে।
তাই আজ কেঁদে ফিরে জন্মভূমির তরে—
সাম্প্রদায়িক চেতনা ভর করলো প্রিয় জন্মভূমি ঘরে।
রেষারেষি আর কুসংস্কার ভরে আমাদের প্রিয় মানুষগুলির মনে,
এক সময় আমরা বসবাস করিতাম অসাম্প্রদায়িক চেতনার রণে।
আমরা মানুষ পাশাপাশি যেন রয়-
মা,মাটি জন্মভূমি চিরদিন যেন কথা কয়।
তসলিমা হাসান
কানাডা, ১৫-১২-২০২২