প্রিয়তম ইকবাল হাসান
প্রিয়
তোমাকে প্রথম দেখাতেই প্রচন্ড ভালবেসেছিলাম।
রুশ ঔপন্যাসিক ইভান তুর্গেনিভ লিখেছিলেন
‘ভালোবাসার জন্য অনন্তকালের প্রয়োজন নেই,
একটি মুহূর্তই যথেষ্ট’।
কথাটা আমার ক্ষেত্রে যথাযথই মিলে গেছে।
ঠিক একটি মুহূর্তেই মন উজাড় করে ভালোবেসেছি তোমাকে।
আমি অনন্তকালের জন্য অপেক্ষা করিনি!
যদি আমি রোমান্টিক কবি পার্শি বিশি শেলি হতাম তোমার জন্য লিখেতাম হাজার খানেক ভালোবাসার কবিতা।
আমার কাছে ভালোবাসার সংজ্ঞা তুমি।
যাইহোক প্রিয়,
আমার ফরেনসিক রিপোর্ট হয়তো হবে,
তোমার ভালোবাসার হিমালয় পাড়ি দিতেই আমার পরিণতি।
তোমার জন্যই আমার ভালোবাসা।
আমার জীবন।
তুমি যে আমার একমাত্র কন্যা সন্তানের জনক!
জন্মবার্ষিকীতে অনেক শুভেচ্ছা প্রিয়তম!
আত্মসমর্পণ
ভালোবাসতে চাই,তোমাতে ডুবে থাকতে চাই
ভিজতে চাই তোমার অবিরাম ধারায়,
নিশ্চিন্তে নিমজ্জিত হওয়ার মতো এক জোড়া চোখ তোমার
সে চোখের যতোটা গভীরে গেলে
তুমি – আমি বলে কিছু অবশিষ্ট থাকে না।
তোমার মগ্নতায় আচ্ছন্ন হয়ে
আমার আমিত্বকে বিসর্জন দিতে চাই,
স্পর্শে ভেঙ্গে যাবো, আলতো ছুঁলেই ঝ’রে যাবো আমি
তোমার কাছে এ আমার আত্মসমর্পণ…
যেজন ভালবাসে, সেই মরেছে
যে জন ভালবেসেছে সেইতো মরেছে
বেঁচে থেকেও মরণের স্বাদ গ্রহণ করেছে।
স্বর্ণ মহলের চাকচিক্যের স্রোতে ভেবেছে
হৃদয়ের গভীরে বিধবার সাধ মেখেছে।
কোনো কিছুতেই জীবনে মিটিবে না পিয়াস
সারা জীবন ভর মনে বহে বিরহি বাতাস।
চারিদিকে কত লোক কত আয়োজন
হাজার জনের ভিড়ে মন খোঁজে একজন।
সেই একজনের চাওয়া মনেমনে শেষ হবে না
সাত সাগর পাড়ি দিলেও তাকে ফিরে পাবে না।
এটাই বুঝি হয়তো বিধাতার দেওয়া ব্যথার দান
শূন্য বুকের নিঃশব্দতায় কাটবে সারাটি জীবন।
সে প্রেমের শূন্যতার ঋণ কভূ শেষ হবে না
পূর্ণ জীবনেও শূন্যতার মরণ কেউ দেখে না।
এ ভাবেই হয়ত একদিন জীবন যাবে থেমে
আকাশ বাতাশ শুধু জানে কি ছিল প্রেমে ?
১ Comment
প্রেম ভালোবাসা পূর্ণতা পাক। অমর হোক। সুন্দর, সাবলীল কবিতা। কবি তসলিমা হাসানকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।