অগ্নিকন্যা শেখ হাসিনা
উৎসর্গ:-দেশরত্ন’র জন্মদিন উপলক্ষে।
১৯৪৭ সাল, ২৮-শে-সেপ্টেম্বর।
বাংলার মাটিতে স্বর্গ থেকে নেমে এলো,
সুন্দর ও কল্যাণের মশাল জ্বেলে।
রুক্ষ, শুষ্ক ও অনুর্বর ধরা হলো সিক্ত ও উর্বর।
সমস্ত জরা, মৃত্যু, তাপ,রোগ, শোক হলো দুর।
পৃথিবী হলো চির সবুজ, সতেজ ও সুন্দর।
সেদিন বাংলার ৫৬ হাজার বর্গমাইল জুড়ে,
উচ্চরবে মানব মুক্তির জয়গান ধ্বনিত হলো।
অসহায়, অত্যাচারী, নিপীড়িত আর বঞ্চিত মানুষের মুখে ও প্রাণে ফিরে আসলো হাসি।
১৯৭১ সালের ভয়াবহ দিনগুলোতে তুমি
পাক বাহিনীর বর্বর নির্যাতনে অসহায়, উদ্বাস্ত, দিশেহারা মুক্তিকামী মানুষের পাশে ছিলে।
কারারুদ্ধ পিতা ও অসহায় নিজ পরিবারকে
দেশমুক্তির কাজে সেদিন সঁপে দিলেন।
অবশেষে দেশ স্বাধীন হলো।
পেলাম লাল সবুজের পতাকা।
১৯৭৫ সাল, ১৫-ই-অগাস্ট,
হঠাৎ ঘোর অন্ধকার নেমে এলো বাংলায়।
নরক থেকে নেমে আসলো কিছু অসুর।
অসুরের নির্মম বুলেটে শহীদ হলেন
আপন পিতা, মাতা ভগ্নিসহ সব পরিজন।
সমস্ত চোখের জল লুকিয়ে, ব্যথা বুকে চেপে,
নিজ হাতে বাংলার মাটিতে শুয়ে দিলেন
নিহত মাতা পিতা ভাইসহ সব আত্বীয় স্বজন।
বাংলার ১৬কোটি মানুষের মাঝে তিনি আজ,
খুঁজে পান তার নিহত আত্মার আত্বীয়দের।
বাংলার মানুষের সুখে তিনি সুখী।
আর তাদের দুঃখে তিনি দুঃখ ভরাক্রান্ত।
হাসিমুখে চির তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধীতের সাথে
নিজ অন্ন ভাগ করে খান মমতাময়ী জননী।
সেই দেবী সরস্বতী আর কেউ নয়,
তিনি দেবী থেকে আজ মহামানবী।
সে যে অগ্নিকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
সারা বিশ্বের বিস্ময়, তুমি আমার অহংকার।
✑ কলমে- তসলিমা হাসান
কানাডা, ২৮-০৯-২০২২