চিৎকার করো মেয়ে যতদূর গলা যায়
–ইমরোজ সোহেল
(পৃথিবীর তাবৎ নির্যাতিত নারীকে উৎসর্গিত)
চিৎকার করো মেয়ে, যতদূর গলা যায় আগুন হয়েছো,
চাপা পড়ে গেছে ছাই হাঁটতে শিখেছো, মেলতে শিখেছো পাখা
এটা তো তোমারই দায়। এতদিন ছিলো অবগুন্ঠণে লুকোনো
তোমার হাত শান দাও তাতে, কেটে যাবে কালো রাত।
ভুলে যাও নারী যাদু কন্ঠের মিষ্টি মধুর স্বাদ একসাথে আজ
মেলাতেই হবে কাঁধ চিৎকার করে কাঁপাও আকাশ,
ভাঙ্গাও বাতাস যতদূর গলা যায়। লজ্জাবতীরা জেগে তবে
উঠবেই জল যদি পায় শামুকের দল দুই চোখ তার খুলবেই।
ঠ্যাং ভেঙে দাও বজ্জাতদের ল্যাং মেরে করো একেবারে কুপোকাৎ
শাড়ি ধরে টান মারতে মারতে কতদূর নেবে? ওরা কি দেখেনি
ইদানিংকার অগ্নুৎপাত? তোমরা এখন জ্বলতে শিখেছো
চিনতে শিখেছো বিধাতার গড়া শরীরের সম্ভার! রক্তচক্ষুর
দাবানলে পুড়ে আর নয় উপগত এখন সময় ঘুরে দাঁড়াবার,
এটাই এখন ব্রত। লজ্জার দড়ি খুলে ফেলো মেয়ে জমা করো ওটা
হৃদয়ের কার্ণিশে সময় আসবে, আসতেই হবে দিশেহারা কাক
ওখানে ঝুলবেই পর্যুদস্ত বিষে। ঠোঁক মেরে মেরে ভন্ড প্রেমিক
এতদিন ধরে চুষেছে যেসব অনন্তসুখ সুধা। সময় এসেছে,
উগরে দেবার নপুংসকের পেটে থাকনা এখন সর্বগ্রাসী ক্ষুধা।
চিৎকার করো মেয়ে যতদূর গলা যায় কাঁপুক পৃথিবী,
কাঁপুক সভ্যতা-নামে সাদা বক হা হয়ে যাওয়া চরে শকুন মরুক
পৃথিবী দেখুক ফাঁশির কাষ্ঠে ঝুলছে অগনিত ধর্ষক।
চিৎকার করো মেয়ে যতদূর গলা যায় ভন্ড পুরুষ, পুড়ে হোক ছারখার,
না’হয় জ্বলুক চিতার কাষ্ঠে, আষ্টেপৃষ্ঠে অনতিবিলম্বে ভবলীলা হোক পার।
২ Comments
নশ্বর পৃথিবীর বুকে মাংশ পিণ্ডের লোভে লোভাতুর পুরুষ সমাজ,
বিপরীত আকর্ষণে মাতাল আর উম্মদনায় লিপ্ত চতুর্পাশে বড় পাপ নারীত্ব আজ।
নরপশুর বক্ষতলে চিৎকারে আড়ষ্ট শব্দ
সমাজ পিতার কর্ণে নাহি তুলে প্রতিধ্বনি
thanks for your best complements.