বক্ষ বেদন।
সৈয়দা শাহানাজ পারভীন
কেউ জানে না অন্তরকথা
শুরু হতে শেষ পর্যন্ত যা রয়েছে হৃদয়ে গাঁথা,
এ নয়তে শুধুই অপ্রাপ্তি -বঞ্চনার করুণ ক্রন্দন।
এ তো মানবীয় সত্ত্বা বিকাশের আকুল আবেদন,
রক্তাক্ত জখমে জর্জরিত কোমল এ প্রাণ।
কেউ জানে না অন্তরকথা
পাষাণ প্রাচীরে বন্দী হতে ছুটে আসার কতো চেষ্টা,
অনিদ্রিত বারিসের বিন্দু বিন্দু জল শুধুই কষ্টছোঁয়া!
তীরের জমিনে পদচিহ্নে জমে থাকা যতো সব কথা
দূর বেলাভূমি ডেউয়ে ভাসিয়ে দেয় নিত্য ব্যথা।
কেউ জানে না অন্তরকথা
নির্লিপ্ত আঁখি যুগলে বিজয়ী স্বপ্নেরা করে বৈঠক,
পুরস্কৃত পুষ্পমাল্য গ্রহনে নত মাথার মূল্য শত কোটি
বীরদর্পে ছুটে চলা চন্দ্র কখনো কখনো কালিমায় মলিন,
ধরার বুকে প্রকৃতি তাই বলে তো থেমে থাকে নি।
কেউ জানে না অন্তরকথা
অর্জিত ধন গুলো সুষমা বৃদ্ধি করে জীবন পথে,
অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তি অলখ্যে চলে দূর হতে- দূরান্তে।
মূর্ত হয়ে দাড়ায় সম্মুখে যাপিত জীবনের গল্পেরা,
দৃশ্য থেকে পর্দা তুলে না অপ্রাপ্তির কাহিনীরা।
কেউ জানে না অন্তরকথা
হিসেবের তরী উজানে বেয়ে বেয়ে ক্লান্ত,
তবু্ও ক্ষান্ত হয় নি তো আগামীর জোয়ারে আশা!
সময় শেষে প্রাপ্তির থলে হাতরে ফিরে দেখা হয়নি
সঞ্চিত বাসনা যতো পূর্ণতা পেয়েছে কতো?
কেউ জানে না অন্তরকথা
হলো যখন জীবন বাঁকে ঘুরে ঘুরে দেখা,
বহতা নদীর বুকে থেমে থাকার চেষ্টা অকারণ।
অযথা হয়েছে সময় ক্ষেপন ঘুমরে উঠে বক্ষবেদন,
দুঃখ-সুখের বসতি কখনো হয় না পরিবর্তন।
আপনালয়
ধানমন্ডি, ঢাকা।
০৬ ডিসেম্বর ২০২১।