অণুকবিতা:
১)
রাত্রি পোহালে যে ফুল ঝরে যাবে
তাকে কেন এতো সাজালে
দিনের আলোর পিছনে
রাতকে কেন আঁধারে ডুবালে।
২)
টলমল করা জল পাতার আপন নয়
অশ্রু হয়ে গড়িয়ে পড়া জল বেদনাময় হয়।
আপন ব্যথা আপন মাঝেই রাখিতে হয়।।
৩)
রাত বাড়ে বাড়ে রাতের নিস্তব্ধতা
শুধু জেগে থাকে মিটিমিটি তারা
আর কিছু ক্ষেপাটে মানুষ
নদীতে তখন জোয়ার।।
৪)
একলা দিনের একলা আকাশ
একলা থাকার দিন গো
একলা হাওয়া যাবেই যদি
আমায় সাথে নাও গো।
৫)
এতদিন হাটিয়া বুঝিলাম
এ জগত আমার নয়
এ পথও আমার নয়
শুধুই মায়ায় পড়িয়া রই।
৬)
সময় এক বহতা স্রোত
মুছে দেয় শৈশবের রং
ভুলিয়ে দেয় কষ্ট, স্মৃতি, শোক
শুধু ইচ্ছেরা বেঁচে থাকে আমৃত্যু।।।
৭)
বহুদিন পর ঠিকানাটা পেলাম আজ
তাপিত বনে ময়ুর পেখম মেলে তাই
চাইলেই করতে পারি আলাপন
কিন্তু কপাট দিলো অভিমান।
৮)
অত দূরে যেতে নেই
ওখানে অভিমানরা থাকে
অত কাছে অাসতে নেই
দুঃখরা সব নদী হতে পারে।
৯)
মনের আকাশ সেজে থাকে
পাবো পাবো বলে
নয়ন ভরা নোনা জল
না পাওয়ার দুখে।
১০)
মেঘ কেটে সূর্য হাসে
দিন যায় দিন আসে
সুখের পরে সুখ না আসে
আপন নাহি আপনই থাকে।
১১)
নবীন বৈশাখ শুধু ঝড় এনো না
বয়ে আনো তারুণ্য, আনো মঙ্গলবার্তা
ধূয়ে দাও দুঃখ ব্যাথা ফুটিয়ে হাসি ক্লিষ্টজনে
ফিরিয়ে দাও সে ভূমি
জাগিয়ে নতুন আাশা।।।
১২)
ঝড়ো বৃষ্টিটা আজ ছাতা উড়িয়েছে
কেউ ছিলো না একটু কুড়িয়ে দিতে
ছাতাটি সত্যি উড়ে গেলো
কেউ জানলো না মেঘটা নদীর হলো।
১৩)
তুমিও ডাকনি আমিও আসিনি
যদি তুমি ডাকতে ফিরে আসতাম আবার।
১৪)
রাতের চাঁদটা হঠাৎই
জানালায় এসে বলে
ভোরেই মিলিয়ে যাবো
সকালের সূর্য সাক্ষী।
১৫)
তুমি ছুঁলে আকাশটা রঙধনু হয়
সপ্ত ডিঙায় ভেসে বেড়াই
গা এলিয়ে বসে থাকি আকাশের কোল ঘেসে
বেলা শেষে মিশে যাই এক রঙে।
১৬)
রক্তের রং লাল
সিদুরের রং লাল
আত্মার রং কি
বলবে তুমি আমায়।
১৭)
শহর ভিজলো বৃষ্টির জলে
জোড়া শালিকের দেখা নাই
ঘুড়ি ঘুড়ি মন উড়ে বেড়ায়
লাটাইটা আর হাতে নাই।
১৮)
আবার পূর্ণিমা হবে
এসো কিন্তু বকুল তলায় যাবো
এক আজলা বকুল তোমায় দিয়ে
নিরুদ্দেশে যাবো।
১৯)
সযত্নে সাজানো এ ঘর
কে বলে তা তোমার আমার
বেলা শেষে জমা দিয়ে
ফিরে যেতে হবে যে আবার।
২০)
আকাশ জুড়ে নক্ষত্ররাজি
চাঁদ গেছে ঘুমিয়ে
জোনাক আছে, জোনাক জ্বলা রাত জাগে
জেগে আছো কি তুমিও!
……… ফেরদৌসী বেগম