তবুও বৃষ্টি আসুক
ঠিক এই মুহূর্তে তুমি তাকিয়ে আছো চাঁদের দিকে, আর চাঁদটা তাকিয়ে আছে আমার মুখের দিকে।
ভেবেছো কখনো কতোটা জ্যামিতিক ছন্দে বাঁধা তোমার-আমার জীবন!
তপ্ত দুপুরে যে সূর্যের আলো আমি গায়ে মাখি, তুমিও কি হাত বাড়িয়ে তা ছুঁয়ে যাও না!
নাকি গা বাঁচিয়ে পালিয়ে বেড়াও স্বভাবসিদ্ধ!
তবু বৃষ্টি এলে ছুঁয়ে দিও তাকে।
আজো বৃষ্টি এলে আমি বৃষ্টিতে ভিজি।
নোনাজলের ঘনত্ব তাতে অনেকটাই কমে যায়;
আবারও বৃষ্টি এলে ছুঁয়ে দিও তাকে।
কিছু বৃষ্টি ধারা আমারও গাল ছুঁয়ে যাক।
তবু বৃষ্টি আসুক
একদিন দিনমান ঝরাপাতার গান শুনবো
শুনবো বৃষ্টির অভিমানী সুর।
উপত্যকা ক্ষয়ে ক্ষয়ে যে ঝরণা নামে শত বছর ধরে তার বরফ জলে আমারও ঠাঁই হবে,একদিন
ভালোবাসলে বরফ হতে হয়,
কখনো হতে হয় জমাট পাথর।
যে পাথরে প্রতিধ্বনি তুলে নিরবতার গহীন আঘাত।
নইলে বৃষ্টি আসুক তুমুল বিষাদে।
বৃষ্টি আসুক বিষাক্ত এই রাতে,
বৃষ্টি আসুক তোমার আঙিনায়।
ভালোবাসার এক পশলা বৃষ্টি আসুক তোমার ঠিকানায়।
তবু বৃষ্টি আসুক।
দুরত্ব
সেদিন শুনেছি একটি দেয়াল তুলছো নিজের চারপাশে।
রোজ নাকি সেখানে ইটের বদলে দুরত্ব আর অভিমান মিশিয়ে গাঁথুনি দিচ্ছো।
দেয়ালটা তোলা হলে সঠিক হিসেবটা জানাতে ভুলো না
আমাকে। ঠিক কতটুকু অভিমান আর অভিযোগ মেশালে শক্ত পাকাপোক্ত একটা দুরত্বের দেয়াল গড়ে ওঠে স্হায়ীভাবে।
আমাকে বলবে?
ঠিক কতেটা দূরে সরে গেলে মানুষ মানুষের ছায়া ভুলে যায়, মানুষের মায়া ভুলে যায়, মানুষ মানুষের কায়া ভুলে যায়!
ঠিক ততোটাই দূরে থেকো যতোটা দূরে ভুলে থাকা যায়
নিঃশ্বাসের অভিশাপ।
ঠিক ততোটাই দূরে থেকো……..
১ Comment
চমৎকার উপস্থাপন