প্রিয়
জেরিন বিনতে জয়নাল
আমি আকাশ সাজিয়েছি তারা দিয়ে
তোমার হাসি দেখবো তাই,
অন্ধকারে ছেয়ে আছে, আস্যে হাসির ঝিলিক নাই।
চাঁদকে বললাম খুঁজে আনো ওই অধরের হাসি,
চাঁদ মামাও হারিয়ে গেলো, ধরে সূর্যের সাথে বাজি।
ধন্না দিলাম প্রজাপতির কাছে, তাকে গিয়ে বলো
জলদি যেন ফিরিয়ে আনে ঐ আস্যের আলো।
যাওয়ার পথে প্রজাপতির দেখা ফুলের সাথে,
খোশ গল্পে মেতে গেলো, আমার কথা ভুলে।
ধরলাম এবার শুভ্র পায়রা, বললাম মনের কথা
অভয় দিলো, রওনা হলো, আমার প্রিয় আছে যেথা।
কবির ডাকে গেলো থেমে, পা’য়ে বাঁধলো চিঠি
উড়াল দিলো উলটো পথে, হয়ে কবির অতিথি।
বিষন্ন আমি পৌঁছে গেলাম ধবল বকের কাছে,
যাবে ভায়া যেথায় আমার প্রিয় লুকিয়ে আছে?
যেতে পারি, যদি তুমি দুই খানা মাছ দাও,
পৌঁছে যাবো দ্রুত বেগে যেথায় তুমি চাও।
খুশি মনে দৌড় লাগালাম জেলে ভায়ার কাছে
দেয়ার মতো তোমার কাছে দু’টি মাছ কী আছে?
তা তো আছে, দেয়া যাবে, পয়সা আগে দাও
পাওনাকড়ি বুঝিয়ে দিয়ে মাছ নিয়ে যাও।
পয়সা দু’দিন পরে নিও, খুব দরকার ভাই
নগদ ছাড়া কারো সাথে কেনা-বেচা নাই।
পা ঝুলিয়ে নদীর জলে বসে রইলাম আমি
হঠাৎ দেখি সূর্য হাসে, হাসে প্রজাপতি
পায়রা আর ধবল বকও হাসছে মিটিমিটি।
রোদ খেলেছে নীল আকাশে, হাসছে আমার প্রিয়
মান ভেঙেছে অবশেষে আমায় জানিয়ে দিলো।