প্রহসনের বিচার
আশরাফ আলী
নীল কণ্ঠ পাখি আসিয়া, গাছের ডালে বসিয়া কাতরে মিনতি জানায়
পাখির মিছিলে একটি গেছে মরিয়া বন্দি কাকাতুয়া।
কুম্ভকর্ণ বেঘোর ঘুমে, ঘুমায় সে অচেতনে
কার কথা কে শোনে?
নীল কণ্ঠ উড়িয়া যে যায় বুক ভরা ক্রন্দনে।
বিধির লিখন না যায় খণ্ডন
পাখির মিছিলও বন্ধ এখন।
টিকটিকি আসিয়া ডায়েরির পাতা খুলিয়া চেয়ার পাতিয়া বসে।
রিমান্ড মনজুর হইয়াছে কাকাতুয়ার.
রিমান্ডে তথ্য পাওয়া গেলো-কে সেই মিছিলের লিডার!
চলিতেছে ধরপাকড়, ধরা পড়িলো ফেসকুল্লা সর্দার।
পায়ে বেড়ী দিয়ে টানে হিড়হিড়
বিড়ালের আদালতে হয়ে গেলো বিচার।
ভাগ্য ভালো যাহার, পাইয়া গেলো পার
কপালদোষে কারাভোগে ফেসকুল্লার সর্দার।
দাবিটা ছিলো তবে কি?
দাবি সঠিক না বেঠিক?
সাংবাদিক কবুতর নাই ভয় নাই ডর
তদন্তে বেরিয়ে পড়ে, তদন্ত তবে কীভাবে করে?
নীলকণ্ঠ পালাইয়াছে বাসভবন ছেড়ে।
আদালতে আপিল কেমনে করে?
কুম্ভকর্ণ এখনো ঘুমিয়ে, ঘুমায় অচেতনে।
কবুতর সাহসী সাংবাদিক
সত্য উদ্ঘাটনে ঘোরে চারিদিক
নিরন্তর সত্যানুসন্ধানে…।
২ Comments
very good poetry, Congratulations
“কুম্ভকর্ণ এখনো ঘুমিয়ে-ঘুমায় অচেতনে”সুন্দর উক্তি।চলুক।