প্রথম মসজিদে যাওয়া
গল্প
এম জে মেহেদী হাসান
যখন একটি শিশু জন্ম গ্রহণ করে তখন শিশুটি জানে না শিশু টির কি ধর্ম। জানে না তার ধর্ম সম্পকে কোনো কিছু। তার মন সব সময় উদাসীনতায় থাকে খেলা দোলা নিয়ে । জাগে না মনে কোনো প্রশ্ন কোনো ধর্ম সম্পকে। ধিরে ধিরে শিশু টি বড় হতে থাকে এবং বাবা মা কিভাবে চলছে তা অনুসরণ করতে থাকে। এবং বিভিন্ন আদেশ দিয়ে থাকে তার বাবা, মা সে ছোট শিশু টিকে শিশুটি সে অনুযায়ী চলার চেষ্টা করে। অবশেষে এক দিন মা ঘরের এক কুনে জায়নামাজ বিছিয়ে কি যেন করছে শিশুটি লক্ষ করে। তখন থেকে শিশুটির মনে প্রশ্ন জাগে ধর্ম সম্পকে। অন্য দিকে দূর থেকে মাইকের একটি শব্দ আসলে বাবা টুপি মাথায় দিয়ে কোথায় জানি যাচ্ছে। শিশু টি ভাবতে থাকে কি করছে তারা । এর পর একদিন মায়ের পাশে আসে শিশুটি এসে জিজ্ঞেস করে মা এভাবে ঘরের এক কুনে বসে কি করো। মা বলে তোমার আমার পৃথিবীর সকল কিছু যিনি সৃষ্টি করছে সৃষ্টিকতা তাকে ডাকি। শিশু বলে মা সৃষ্টিকতা কে কেন ডাক..? মা বলে সৃষ্টি কতা কে ডাকলে সৃষ্টি কতা খুশি হয়। শিশু মাকে আবার প্রশ্ন করে সৃষ্টি কতা খুশি হলে কি হবে…? মা বলে সৃষ্টি কতা খুশি হলে তোমার জীবনের যত দুঃখ কষ্ট আছে সব দূর করে দিবে। এই কথা শুনে শিশুটি মাকে বলে মা আমিও তাহলে সৃষ্টি কতাকে ডাকতে চাই। মা বলে তাহলে অজু করে এসো শিশু টি মনে আবার প্রশ্ন আসে মা অজু কি..? মা বলে অজু হচ্ছে সৃষ্টিকতা কে ডাকতে হলে তোমাকে প্রথমে পবিত্র তা অর্জন করতে হবে। পবিত্র তা হচ্ছে অজু যাও অজু করে এসো। এর পর শিশু টি বলে মা কিভাবে অজু করবো..? মা বলে তুমি যদি সৃষ্টিকতা পরিপূর্ণ ভাবে ডাকে চাও তাহলে তোমাকে অনেক কিছু শিখতে হবে। আর ঐ জিনিস টি শেখার জন্য একটি স্থানে যেতে হবে। শিশু টি বলে কোথায়..?মা বলে মসজিদ ঐ খানে নৈতিক শিক্ষা দান করা হয় কাল থেকে তোমার বাবা সাথে মসজিদে যাবে। পরে দিন থেকে বাবা হাত ধরে মসজিদে যায় । গিয়ে দেখে সবাই সৃষ্টি কতা ইবাদতে ব্যস্ত কেউ কারো সাথে কথা বলে না। এর পর শিশু টি বাবাকে অনুসরণ করার চেষ্টা করে । বাবা যেভাবে যেভাবে দাঁড়ায় শিশু টিও সেভাবে দাঁড়ায়, বাবা যেভাবে সিজদাহ্ দেয় শিশুটিও সে রকম ভাবে সিজদাহ্ দেওয়া চেষ্টা করে, এর বাবা বসে আর মুখ নাড়িয়ে নাড়িয়ে কি জানি পড়ছে শিশুটি ভাবছে কি জানি পড়ছে.? এর পর নামাজ শেষ করে বাবা হুজুর কে বলে কাল থেকে আমার ছোট খোকা টাকে নৈতিক শিক্ষা দান করবেন। এর পর থেকে শিশুটি প্রতি দিন মসজিদে হুজুরের কাছে আসে এবং শিক্ষা অর্জন করতে থাকে। একটা সময় শেষ শিশু টি আর শিশু থাকে না সে আজ পরিপূর্ণ যুবক এবং নামাজ এবং ইসলাম সম্পকে ধারণা অর্জন করে ফেলেছে। তাকে আর শিখিয়ে দিতে হয় না কিভাবে অজু করতে হবে কিভাবে নামাজ পড়তে হবে । অবশেষে এক দিন অনেক ক্লান্ত মন নিয়ে প্রভুর কাছে হাজির হয়। আর বলতে থাকে তার মনের দুঃখ গুলি। আজ সে বাবা এবং মা দুজনের একজনও কাছে নাই। তাদের জন্য মুনাজাতে অশ্রু ঝড়ায় আর প্রাথনা করতে থাকে। সে যুবকের আজ একটাই চাওয়া ঐ পারে যেন তার বাবা মা অনেক ভালো থাকে এবং সুখে থাকে..! আর এভাবে তার প্রতিটি নামাজের মোনাজাতে বাবা মা জন্য সৃষ্টিকতা কাছে প্রার্থনা করে..।