প্রতীক
নীপা খান
সেদিন দাঁড়িয়েছিলাম পথের বাঁকে।
হঠাৎ তোমার হেঁটে আসা দেখলাম দূর থেকে।
বয়সের ভারে কেমন জানি ন্যুব্জ তুমি।
শেষ বিকেলের আলোয় পাখিরা ঘরে ফিরছিল,
রাখাল গরুর পালের তদারকিতে ব্যস্ত।
আর আমি ন্যস্ত ছিলাম তোমার চোখের ভাষা পড়ায়।
জিজ্ঞেস করলে না কেমন আছি?
কেমন করে চলছে তুমিহীনা জীবন!
জানি বুক ফাটবে তবুও বলবে না——!
একসময় তুমিই যে বলতে, আমি অভিমানে সেরা।
বাহ্যিক চাকচিক্যময় পৃথিবীর আহ্বানে
নতুন স্পন্দনের তুমুল আগ্রাসনে
সেই যে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলে!
আজও আমি দাঁড়িয়ে আছি তীব্রতর অশ্রুবিসর্জনে।
আমার ভাবনাগুলোর ডানা,
ডালপালায় বিস্তৃত শাখা মেলে দূর দিগন্তে মিশে যায়।
ফেরারি সেই অনুভুতির শিহরণ জাগানো অতীতটাকে
মাটিচাপা দিতে চায় অবুঝ পাখি।
আজ আমি মূর্তিমান প্রতীক, কালের সাক্ষী
কত অজানা সত্য গেয়ে যায় পথিক,
তারই অবগাহনে মন হয় দিগ্বিদিক।