৫৬১ বার পড়া হয়েছে
বাপ-বেটা আলী যাকের ও ইরেশ যাকের। বাবা আলী যাকের গত হয়েছেন, বিনম্র শ্রদ্ধা…
সন্তান ইরেশ যাকের একজন প্রতিভাবান অভিনেতা। শুভ জন্মদিন।
আলী যাকের
জন্ম: ৬ই নভেম্বর, ১৯৪৪
মৃত্যু: ২৭ নভেম্বর ২০২০
ইরেশ যাকের
জন্ম: ৬ নভেম্বর ১৯৭৬
আলী যাকের
অভিনেতা, ব্যবসায়ী ও কলামিস্ট। তিনি টেলিভিশন ও মঞ্চ নাটকে সমান জনপ্রিয়। তিনি একই সাথে দেশীয় বিজ্ঞাপনশিল্পের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব। আলী যাকের বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির কর্ণধার। তিনি বাংলাদেশের দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখে থাকেন। তাঁর সহধর্মিনী সারা যাকেরও একজন অভিনেত্রী।
শিল্পকলায় অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করে। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী পদক, নরেন বিশ্বাস পদক এবং মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেছেন।
১৯৭২ সালের আলী যাকের আরণ্যক নাট্যদলের হয়ে মামুনুর রশীদের নির্দেশনায় মুনীর চৌধুরীর কবর নাটকটিতে প্রথম অভিনয় করেন যার প্রথম প্রদর্শনী হয়েছিল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে। ১৯৭২ সালের জুন মাসের দিকে আতাউর রহমান ও জিয়া হায়দারের আহ্বানে নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ে যোগ দেন। ঐ দলে তিনি আতাউর রহমানের নির্দেশনায় বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন, যার প্রথম মঞ্চায়ন হয়েছিল ওয়াপদা মিলনায়তনে । ১৯৭৩ সালে নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ে তিনি প্রথম নির্দেশনা দেন বাদল সরকারের বাকি ইতিহাস নাটকে, যা ছিল বাংলাদেশে প্রথম দর্শনীর বিনিময়ে নাট্য প্রদর্শনীর যাত্রা। আলী যাকের ২০১০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাভিশনের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অনুষ্ঠান ভালোবাসার বাংলাদেশ উপস্থাপনা করেন।
নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের জন্য বিশ্বখ্যাত বিদেশী নাটকের বাংলা রূপান্তর আর নাটক নির্দেশনা এসব কাজে আলী যাকের ব্যস্ত ছিলেন। ১৯৭৩ সালে ঐ দলে যোগ দেন সারা যাকের যাকে শুরুতে চোখেই পড়েনি আলী যাকেরের। একটি নাটকের প্রদর্শনীর আগের দিন একজন অভিনেত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলে সারা যাকেরকে দেওয়া হয় চরিত্রটিতে অভিনয় করতে। আলী যাকেরের ওপর দায়িত্ব পড়ে চরিত্রটার জন্য তাকে তৈরি করার এবং খুব দ্রুত চরিত্রটির সাথে নিজেকে মানিয়ে নেন সারা যাকের। এই প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে যান আলী যাকের। ১৯৭৫ সালের এই ঘটনার রেশ ধরেই আলী যাকের আর সারা যাকেরের বিয়ে হয়। এই দম্পতির দুই সন্তান, পুত্র অভিনেতা ইরেশ যাকের ও কন্যা শ্রিয়া সর্বজয়া।
চলচ্চিত্র
আগামী (১৯৮৬)
নদীর নাম মধুমতী (১৯৯৬)
লালসালু (২০০১)
রাবেয়া (২০০৮)
টেলিভিশন ধারাবাহিক
বহুব্রীহি (১৯৮৮)
আজ রবিবার (১৯৯৯)
একক নাটক
একদিন হঠাৎ (১৯৮৬)
নীতু তোমাকে ভালোবাসি
পাথর সময়
অচিনবৃক্ষ
আইসক্রিম
পান্ডুলিপি
গণি মিয়ার পাথর
মঞ্চ নাটক সম্পাদনা
নাটক নির্দেশক
কবর মামুনুর রশীদ
বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ আতাউর রহমান
বাকী ইতিহাস আলী যাকের
বিদগ্ধ রমণী কুল আলী যাকের
তৈল সংকট আলী যাকের
এই নিষিদ্ধ পল্লীতে আলী যাকের
দেওয়ান গাজীর কিস্সা আসাদুজ্জামান নূর
সৎ মানুষের খোঁজে আলী যাকের
অচলায়তন আলী যাকের
কোপেনিকের ক্যাপ্টেন আলী যাকের
ম্যাকবেথ ক্রিস্টোফার স্যানফোর্ড
টেমপেস্ট ডেবোয়া ওয়ারনার
নূরলদীনের সারাজীবন আলী যাকের
কবর দিয়ে দাও আতাউর রহমান
গ্যালিলিও আতাউর রহমান
গ্যালিলিও পান্থ শাহরিয়ার
কাঁঠাল বাগান (চেরি অরচার্ড) আলী যাকের
শিল্পকলায় অবদানের জন্য একুশে পদক – ১৯৯৯
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার
বঙ্গবন্ধু পুরস্কার
মুনীর চৌধুরী পদক
নরেন বিশ্বাস পদক
অভিনয়ের জন্য দ্য ডেইলি স্টার-স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড সেলিব্রিটিং লাইফ – ২০১৮
মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার – ২০১৯
ইরেশ যাকের::
ইরেশ যাকের বাংলাদেশের একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং টিভি অভিনয়শিল্পী। তার বাবা আলী যাকের এবং মা সারা যাকের দুজনই অভিনয়শিল্পী। তিনি অভিনেতা হিসেবে টেলিভিশনে বেশিরভাগ কাজ করেছেন, এছাড়া তিনি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রেও অভিনয় করেছেন। ছুঁয়ে দিলে মন চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ খলচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে তিনি ২০১৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
ইরেস ১৯৭৬ সালের ৬ নভেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন। দুই ভাইবোনের মাঝে তিনি বড়। তার ছোট বোন শ্রেয়া সর্বজয়া।[ইরেসের শৈশব বাংলাদেশেই কাটে। ১৯৯৪ সালের পরে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ গমন করেন। পড়াশুনা শেষে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং অভিনয়ে মনোনিবেশ করেন। ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, তিনি মিম রশিদ এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।২০১৯ সালের ৭ আগস্ট তাদের সংসারে মেহা রশিদ যাকের নামের এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়।
ইরেশ যাকের ছোটবেলায় বাংলাদেশে পড়াশোনা করেন। তিনি স্কুলজীবন শেষ করেন ঢাকার স্কলাস্টিকা স্কুলে। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকাতে পাড়ি দেন। সেখানে তিনি গ্রিনেল কলেজে ভর্তি হন। অতঃপর সেই দেশেই অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
চলচ্চিত্র
২০১২
চোরাবালি রেদওয়ান রনি
২০১৫
জিরো ডিগ্রী অনিমেষ আইচ
ছুঁয়ে দিলে মন শিহাব শাহীন
বিজয়ী: বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ খলচরিত্রে অভিনেতা
২০১৮
স্বপ্নজাল গিয়াস উদ্দিন সেলিম
দেবী আহমেদ সাবের অনম বিশ্বাস
২০১৯
ইতি, তোমারই ঢাকা
নাটক ও টেলিফিল্ম
আমাদের গল্প
ইম্পসিবল ৫
১৮ অল টাইম দৌঁড়ের উপর
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার: শ্রেষ্ঠ খল অভিনেতা – ছুঁয়ে দিলে মন (২০১৫)