তৈষী সাহা’র গুচ্ছকবিতা:
অচেনা ভুবন
অদেখা ছায়ার পেছনে ছুটে চলে এ মন,
তবু হয় না’কো কভু ক্লান্ত,
আপন ছায়পথ জুঁড়েও যে আছে কত ভুল-ভ্রান্ত!
জীবন যে এক বিভ্রান্ত বিভীষিকাময়,
আজ এ মন ভীষণ শ্রান্ত।
আকাশ পানে চেয়ে বসে থাকা,
শূন্য ক্লান্ত আজ সব চিন্তা কল্পনা,
এখন রাত যেন শুধুই মরীচিকা।
রাতের আকাশে তারা গুলোও যেন অচেনা!
তবু অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছি; চেনা তারার খোঁজে।
আমার আমিকে খুঁজে পেতে,চেনা তারার মাঝে;আপন মনেতে।
বিবাদ নিষ্পন্ন চেতনা
কঙ্কাল জীবাশ্মে রূপ নেয়।
মৃত্যু রূপ নেয় শুকনো গোলাপের ঝরে পড়া পাপড়ির ন্যায়!
হীনমন্যতায় আকৃষ্ট মন গুলো নিকৃষ্ট আবেগে আবদ্ধ।
মন বদ্ধতার কারিগরের শৃঙ্খলার করিডোরে হয়তো কোনো ভুল মন্ত্রণার রনকৌশলী চেতনাও বটে!
শূন্যমঞ্চে একা দাঁড়িয়ে ভাববারও বিষয় বটে!
অধীর দৃষ্টিকোণে চোখ আটকে যায় কোনো এক দূর দৃশ্যপটে!
যে দৃশ্যপট ভাবায় চেতনাকে।
হিংস্রতায় বদলায় লাল রক্ত,
রক্তের রং বদলায়; বদলে রূপ নেয় কালোয়।
অদৃশ্য কালো রক্ত, তীব্র কালো হয় রক্ত চেতনা।
আর হিংস্রতায় জন্ম নেয় জীবন্ত মৃত্যু।
প্রশ্নহলো মানব মৃত্যুতে কি রক্ত শুকায়?
আত্মা অমরত্ব পায়, তবে স্থান পায় হয়তো অগ্নি মঞ্চে নয়তো নীল আকাশের স্বর্গ মঞ্চে।
বিবাদ নিষ্পন্ন চেতনায় আমৃত্যু সরবতা অনিবার্য।
বিবাদ রূপী চেতনা জন্ম দেয় হিংস্রতার।
প্রাসঙ্গিকতায় এসে দাঁড়ায় জীবন তাজা গোলাপের মতো সুন্দর।
অবলোকন: বিবাদ নিষ্পন্ন চেতনাই পারে হিংস্রতায় তীব্র ঘৃনার জন্ম দিতে।
ফেলে আসা দিন
যাচ্ছে সব হারিয়ে,
যাচ্ছে চলে দিন।
কাটছে বেলা, কাটছে সময়,
ফুঁরিয়ে যাচ্ছে রাত।
হাত বাড়িয়ে, ধরতে চেয়েও
যাচ্ছে না ধরা চাঁদ।
চাইলেই কি আর সব পাওয়া যায়?
চাঁদ টাকে কি যায় ধরা?
সব হারানোর অপরাধে,
আজ আমার হাতে হাতকড়া।
মন হারালে, স্মৃতি পোড়ালে,
উড়বে কি আর ধোঁয়া?
অন্ধকারে মোম জ্বালিয়ে,
চেনা উপন্যাসের পাতা পোঁড়া।
রাত্রি বেলায়, খালি পায়ে হাঁটি,
বাজে শুকনো পাতা মাড়ানোর শব্দ।
ভেঙে চুরমার, স্মৃতিরা করে হাহাকার,
বেলা ফুরালে, আসবে অবেলা।