তুমি-২
বেদুইন পথিক
তুমি কেমন যেন
তোমাকে ঠিক বুঝতে পারিনা আজও।
যে তোমাকে ভালোবাসার ছলে
তোমার কপালে চুনকালি মাখে,
তবুও তুমি তাকেই ভালোবাস।
আর আহ্লাদে বলো, “এত্ত সুন্দর টিপ!”
আমিতো চেয়েছিলাম তোমার
নিদাগ ললাটের জমিন জুড়ে
উষ্ণ চুম্বনে চুম্বনে বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম
চিত্রকলার সাধনা করতে।
তোমার গলায় বয়ে বেড়াচ্ছ যে মালা,
জানো ওটা কি? ওটা একটা আধুনিক শিকল।
সীমান্তের কাঁটাতারের মতো অমানবিক।
অথচ ওটাকেই কিনা সৌন্দর্য্যবর্ধক বলছো তুমি!
যে পরাবে ওটা, তুমি হবে তার (অবশ্য হতেই হবে)
গৃহপালিত প্রাণী কিংবা
অনুগ্রহে আশ্রিত কৃতদাসী।
তোমার স্বাধীনতার চেতনাগুলো
ওতে ঝুলবে নিষ্প্রাণ ফেলানির মত ।
তুমি যে কেমন? দেখনা আমায়?
আমি তোমার হৃদয়ের কাঁটাতারে
ঝুলবার তরে, বসে আছি কত ব্যাকুল হয়ে।
তোমার নাকের নথ যাকে বলছো তুমি,
আসলে ওটা হলো নাকের দড়ি।
গরুর নাকেই ওটা মানায় শুধু।
তোমার ভেতরের প্রেমকে
বেয়াড়া গরু জ্ঞান করে বাঁধিবার অপপ্রয়াস।
তবুও তুমি তার!
যে পুরুষ তোমায় পারেনা বাঁধিতে প্রেমে
সেই তোমার সুকোমল ননীর মত হাতে পরায়
চূড়ি-বালা নামের যাবজ্জীবন বন্দিবাসের
চরম গোলমেলে এক হ্যান্ডকাফ।
তবুও তুমি এবং তোমরা ঐ
স্বৈরতান্ত্রিকতাই ভালোবাস,
কোন হৃদয়বান নিপাট প্রেমিককে নয়।
তোমার পায়ের নূপুরই বলে দেয়
কতটা পরাধীন তুমি,
কতটা সন্দেহপরায়ণ তোমার পুরুষ।
আমি শুধু তোমাকে বলেছিলাম আমার আকাশে
গোধূলি লগ্নের রংধনু হতে।
তুমি হলে ঈশান কোণের ঝড়োবাতাস।
তাই আমি আজও বিধ্বস্ত প্রান্তরে
পঙ্গপালের মতো ছুটি।