তুমি মা।
সুরমা খন্দকার।
যে ক্ষণে কুক্ষণে ডাকে কাছে,
যে গ্রহণ লাগায় ফোটাতে পারে পূর্নিমা আলো।
যাকে দেখলেই দূর হয়ে যায় সমস্ত অমানিশা কালো।
জগতের সমস্ত জখমের তুমিই এক মলম।
জগতের সব ভালোবাসা ভুল হয় কেবল তুমিই অকৃত্রিম।
তোমার থাকা সমস্ত দুর্বার জয় করা-
ত্রিভুবন, বসুধা নিজেই সম্রাজ্ঞী সম্রাট যেন কেবল আমার এ ধরা।
তোমার না থাকা যেন সারা দুনিয়া ফাঁকা –
যেন ভিক্ষাপ্রার্থী,ভিখারি স্নেহের, বাৎসল্য, মমতা আদরের।
তোমার নিস্তব্ধতায় এক টুকরো নৈশব্দ রোপন করেছি বুকের গহীনে,
নিভে গেছি রাত্রির মতো
দুচোখের সীমানায় কোনো জল নেই,
হৃদয়ের কপাটে দুর্ভিক্ষ কড়া নাড়ে,
কেবল ভালোবাসার আকাল।
কেউ পারেনা তোমার মতো করে।
হৃদয়ের পরতে পরতে নির্লিপ্ত দুর্ভিক্ষ
ছেয়ে যায় শোক।
প্রতিদিন লিখি শোকগাঁথা।
প্রতিদিন ক্রন্দনে বুকের অলিন্দে ভরা বরষা।
অথচ এই আমি তোমার চলে যাওয়ায় এক ফোটা ফেলিনি অশ্রু।
কিছু বেদনা রাখতে হয় সঙ্গোপনে
নিজের করে, অন্ত পুরে, যত্ন করে।
তুমি মা, মাতা! তুমি দাতা!
করে যাও শুধু দান।
প্রয়োজন ছাড়াই ভালোবাসো অফুরান।
১ Comment
Very nice