তাহারে খুঁজি
অনিতা দাস
ঘাসের বুকে পা দিয়ে হেটে চলি
পলি মাটির আল পথ ধরে
দু চোখে খুঁজি তারে,
চলে যাওয়া শালিকের দলে
কাউনের দানা ঠুকরে খাওয়া
কবুতরের পালকের ভেতরে,
কাঁদা দিয়ে প্যাঁক প্যাঁক করে চলা
হাঁসের পালে,
না পেয়ে নিরাশ হয়ে ঘরে ফিরি।
ভাতের থালায় বসে চোখ বেয়ে জল আসে
এখানেও খুঁজি তারে
প্রতিটি গ্রাসে গ্রাসে,
ভীষম খেয়ে সম্বিত ফিরে।
কল তলায় গিয়ে অসার দেহে ঝিম আসে
ভেতরের যন্ত্রণা গুলি উগড়ে আসে
দৌড়ে চোখে মুখে জলের ঝাপটা মারি,
বুকের ভেতর ব্যথারা দলা পাকিয়ে ওঠে
শূন্যে চোখ মেলে নিষ্পলক তাকিয়ে থাকি
জীবনের শব্দ হীন দিন গুলি আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে।
ট্রেনে বসে সাই সাই শব্দের ভেতর
তারেই খুঁজি , অন্তর জ্ব-লে আর পুড়ে
ভাগাড়ের ছায়ের ভেতরও খুঁজি
সোনার খনি খুঁজে যেভাবে।
কোথায় পাবো হাহাকার ওঠে,
রাত্রির ক্ষুদিত আঁধারে নিদ্রার আধ জাগরনে
আঁখি মেলে ঢুলু ঢুলু নক্ষত্রের পানে
পাতালে নাগিনীর কামনা জ্বেলে
ছলাময় আকাশের নিচে
প্রেত ভুতের পিছনে পিছনে দৌড়ে,
তাহারেই খুঁজি আমি।
গৃহ প্রদীপ যখন নিভো নিভো
ডাকনীর হাতছানিতে
মরুর বুকে তৃষ্ণা জাগিয়ে
নিশীথের দীর্ঘশ্বাস বুকে নিভৃত করে
ওষ্ঠে চুম্বনের বাসনা মিলনের তীব্র আবেগে
না পাওয়ার ব্যথা বাজে বিউগলে
অস্তমিত যৌবনের লগ্নে
প্রিয়া হারানোর
অনল শুধু জ্ব-লে আর জ্ব-লে।