ডিভোর্স
ফারহানা আহাসান
বইটি পরে আছে টেবিলের এক কোণায়।
তুমি পড়বে বলে আজও সেখানেই রাখা আছে।
বছর দুইয়েক হলো দেখা নেই প্রিয়তমো মুখটির সাথে।
হঠাৎ ফোন’টি এলো মেয়ে কেমন আছে?
আমার সর্বস্ব শরীরের ভেতরে কেমন একটা অনুভুতি হলো তোমার কন্ঠের সাক্ষাতে।
আমি চুপ করে শুনছিলাম শুধু সেদিন।
তোমার শুধু একটি কথাই জানার ছিল মেয়ে কেমন আছে?
একটিবারের জন্যও জিজ্ঞেস করলে না আমি কেমন আছি?
দুবছরের বিচ্ছেদ থেকেও আমি কি ভুলতে পেরেছি তোমাকে!
তুমি বলেছিলে যদি কখনো শর্ত মানতে পারি তবেই যেন ফিরে আসি।
আমার আর শর্তের বেড়াজালের সম্পর্কে ফিরে যাওয়া হয়নি।
তুমিও তো চাইলে না আমি ফিরে আসি।
কিছু দিন পর আবার ফোন পেলাম তুমি সকল ফার্নিচার ফেরত পাঠিয়েছো।
সাথে যুক্ত করলে আরেকটি অপ্রিয় সত্য ডিভোর্স পেপার ফাইল করেছো।
আমি আবারও চাইলাম আমরা কী এক হতে পারি না?
তোমার উত্তরটা ঠিক একি আছে শর্ত মানলে ফিরে আসো।
আর নয়তো আমি নতুন জীবন শুরু করবো।
আমি নির্বাক হয়ে বিধাতার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি।
এ কেমন ভালোবাসা ছিল তোমার যা শর্তের মাঝেই রয়ে গেল।
আমি যেন নিজেকেই আজ চিনতে পারছি না।
আমি কী তাহলে নিজের সংসারের বিচ্ছেদের কারণ !
আমি কী পারিনি তোমায় ধরে রাখতে!
নাকি আমাদের মাঝে কোন কিছু আর অবশিষ্ট নেই।
ধুলোর আস্তরণ শুধু জমে রইলো এই হৃদয়ের আকাশে।
দু চোখের দেয়ালের মাঝে শুধু একটি প্রশ্ন
আমি কী তোমার কাছে কিছুই না?
৫ Comments
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই কালের প্রতিবিম্ব এর প্রতি।
ডিভোর্স পড়লাম।ভিভোর্স কথাটাই দুঃখজনক কথা।সেটাই কবিতার মর্মার্থ। এটা একটা সামাজিক অবক্ষয় হিসেবে পরিচিত।এর পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে।শর্ত প্রসঙ্গটাই বা থাকবে কেন সম্পর্ক বন্ধনে।সেটা অনৈতিক হলে প্রতিবাদ যোগ্য কী না ভাবনার বিষয়।
সহমত। আমায় ভাবিয়ে তুলছে এ কেমন সম্পর্ক যা শর্তের মাঝে সীমাবদ্ধ! এমন পরিস্থিতিতে আছেন খুব কাছের মানুষ। তাঁদের জন্যই লেখা এ কবিতাটি। অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই আপনার মূল্যবান মন্তব্য এর জন্য।
congratulations
Thank you for your Appreciation.