জীবন খুব ছোট
ফাহমিদা কামাল
তাই বলবো জীবনকে উপভোগ করুন।
ভুল সিদ্ধান্তে ভুল ভাবে শেষ হয়ে যাবার আগে সঠিক সিদ্ধান্তে সঠিক ভাবে আবার নতুন করে শুরু করুন।
অন্যের কথা না ভেবে অন্যদের দিকে না তাকিয়ে…
কে কি বললো কানে না নিয়ে নিজের মতো করে সৎ পথে সঠিক ভাবে সুন্দর একটা জীবন বেছে নিয়ে বেঁচে থাকাটা অসম্ভব নয় এবং দোষেরও কিছু নয়।
আমি মনে করি নিজের জন্য ভাবাটা ভুল কিংবা স্বার্থপরতা মোটেও নয়।
মনে রাখবেন আপনার জন্য কেউ ভাববে না নিজের জন্য নিজেকেই ভাবতে হয়।
আপনার আত্মীয়স্বজন আর বন্ধু বান্ধব দূর থেকে খুব বলে যাবে এই করো সেই করো এভাবে নয় ওভাবে করো পরামর্শের কোনো শেষ নেই।
একের পর এক পরামর্শ দিতে বিরক্তি বোধ করবে না ঠিকই কিন্তু গোড়া থেকে আপনার সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে আসবে না কেউই।
আসলে যার যার নিজের যে কোনো ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন নিজেকেই হতে হয় শক্ত হাতে হাল ধরতে হয়।
পরিস্থিতির মোকাবিলা করে একাকিত্বের সাথে সন্ধি করে নিজেকে ভালোবেসে নিজের মতো করে বেঁচে থাকা এবং জীবন সাজানো অপরাধ নয়।
“আরেকটা বাস্তবতা হলো…
আপনার চাওয়া গুলো পাওয়ায় পরিনত হোক বা না হোক কখনোই কোনোদিন হিসেব কষতে বসবেন না।
হিসেব কষতে বসবেন তো মরবেন!
এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত অভিমত ব্যক্ত করলাম”
আর তাছাড়া আমি তো মনে করি কম বেশি অপূর্ণতা না থাকলে জীবনের স্বাদ পাওয়া যায় না।
আসলে হাহুতাশ সবাই করে!
সবার জীবনেই কিছু না কিছু শূন্যতা থাকে।
তার মানে এই নয় যে শূন্যতায় নিজেকে বিলীন করে দিয়ে একটা অস্বাভাবিক অসুস্থ জীবনযাপন করতে হবে।
শুনেছি মানুষ যখন জীবনের শেষ প্রান্তে থাকে তখন সারা জীবন ধরে কি করলো কাকে কি দিলো আর কার কাছে কি পেলো এবং কতটা ছিলো প্রাপ্তির খাতা পরিপূর্ণ কিংবা অপূর্ণ।
সব কিছু এক এক করে সমস্ত স্মৃতি বায়েস্কোপের মতো ভাসতে থাকে চোখের সামনে।
কারণ তখন আল্লাহ্ পাকের অশেষ রহমতে দিব্যদৃষ্টি লাভ করেন অন্তিমযাত্রার পথের মানুষটি।
কান্নায় ভেঙে পড়েন এই ভেবে…
কি এমন লাভ হলো সারা জীবন হাহুতাশ করে আর মরার আগে মরে!
তো আমি বলবো মরার আগে মরে লাভ কী?
এরচেয়ে বরং নিজেকে একটু সময় দেয়া নিজেকে বুঝতে চেষ্টা করা নিজের সঠিক ইচ্ছে আর স্বপ্ন গুলোকে প্রাধান্য দেয়া এবং নিজেকে ভালোবেসে নিজের জন্য বিন্দাস বেঁচে থাকা…
শ্লাঘনীয় নয় কী?