ছাগলশুমারি
জগলুল হায়দার
বর্মি যাওয়া কর্মীগুলা
পেনশন নিছে কবে
তথাপি বোর্ড সেই লিগেসি
দেয়নি আজো জবে’।
বড় সাহেব সেও তো বুড়া
নাতির ছাতি ধরে
রোজ সকালে নাতির সাথে
ইশকুল ডিউটি করে।
নুতুন মেলা বড় সাহেব
আজো আছে পদে
যদিও পানি শুকাইছে খুব
দেশের নদী নদে।
তাদের দেয়া নিয়োগ নিয়ে
ঢুকছে আরো চ্যালা
আগের মতোই শুমারিতে
চলছে তো সেই খ্যালা।
হিসাব সোজা ঐকিক নিয়ম
থাম্ব রুলে সব ফেলে
ছাগল করে শুমারি তাই
পুরানা চাল চেলে।
বাড়ি বাড়ি না গেলেও তো
বর্মী গেছে আগে
এখন তো সব ডিজিটাল, আর
তাও কী যাওয়া লাগে?
প্রসেস এখন হইছে ইজি
অই কোভিডের নামে
ঘরে বসেই পাক্কা হিসাব
ল্যাপটপে খুব চামে!
যায়নি সেটাই যাচ্ছে বোঝা
হিসাব দেখে ভায়া
মাথা তো নয় লাগবে কাজে
এই ছাগলের পায়া!
পরিসংখ্যা টরিসংখ্যান
ভেল্কিবাজি যতো
করের টাকায় এই হরিলুট
চলবে বলো কতো?
তাই ছাগলের সংখ্যা দেখি
নাই তো মোটে তিনে
বাড়ছে এরা এমন যেন
ভর্তি মুড়ির টিনে।
ছাগল বাড়ায় সেই অনুপাত
আদম গেলো কমে!
এই বাইশে ষোল কোটির
গল্প কি কন জমে?
জমছে না তাই বলছি ও ভাই
ছাগল-সাহেব ভাগো
আদম সবাই আদমি হতে
জোর আওয়াজে জাগো।
ছবিঃ আন্তনেট।