গুরুজন
জেবুন্নেছা জেবু
আচ্ছা বলো জীবন মানে কি?
এক বয়স্ক লোকের হতাশ চাহনি,
নাকি যৌবনের অবুঝ পাগলামী?
মাঝ বয়সে বাস্তবতার মর্মান্তিক কাহিনি।
ছাড়দেয়া মেনে নেয়া জীবনের নাম স্বস্তি
কালের নিয়মে শরীরে অসুখ করে বসতি,
তারপর হয় শুরু না খাবার নিয়ম-নীতি
না পাবার জীবনে রীতি দেয় করুন ভীতি।
সব কিছুই করা হয় অন্যের তরে
আয়-ব্যয় নিজেকে বঞ্চিত করে,
সঞ্চিত সবই লোভ মিছে মায়া সংসার অরণ্য
এতো আয়োজন সব পরের ভোগের জন্যে।
প্রেম ভালো বাসা আবেগ সব সীমিত
অনুধাবনে মিলে যতক্ষণ জীবিত,
আবেগে ভাসিয়ে জীবনে করে বোকামী
কষ্ট পেতে পেতে হয় আবেগহীন পাগলামী।
শোক রোগ আনন্দ হাসি সব একই
তফাৎ প্রকাশের মাঝে কেবলই,
জন্ম-মৃত্যু ক্রমান্বয়ে চলে অবাধে
সেও একই নিয়মের আবর্তে।
দিনশেষে সবই হারায় কালে কালে।
জীবন-যৌবন খুজেঁ চাতকীর মতো,
সেও করে নিজেরই ব্যক্তি স্বার্থে
পাওয়াতে নয় দেয়াতেই হয় সব ভালো।
শত রকমের বিধিনিষেধের বেলা নিদারুণ
এর জন্যে কি ছিলো এতো আয়োজন!
না পাবার ব্যর্থতা অতঃপর মাটির আহ্বান
ফিরে ফিরে দেখা সেই অতীতে বিচরণ !
দুরাশার চাদরে মিলে নির্মম বাস্তবতা
একদিন সবাইকে তাই মানতে হবে,
জীবন মানে কি শেষে তবে সব হতাশা ?
বড্ড অসহায় লাগে আগামী ভেবে।
গাছ বড় হলেই ছায়া মায়া শেকড় দিয়ে
মাটি পানি প্রকৃতিকে রাখে টিকিয়ে,
আমাদেরই সম্মানিত জনেরা তেমনই করে
প্রেরণা মায়া ভালোবাসা দোয়া যায় দিয়ে।
ভুলগুলো শুধরে দেয় আমাদেরই গুরুজন
শ্রদ্ধাও সম্মান করা তাহাদের খুবই প্রয়োজন,
তাতেই মানবের সব সময় হয় কল্যাণ
গুরুজনের আদেশ পালনেই সুন্দর জীবন॥