তেমন দাম পাওয়া যায় না। তাহলে গরুর চামড়া খেয়ে ফেললে কেমন হয়? ভেবে দেখুন।
ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং নাইজেরিয়ায় গরুর চামড়া প্রাণীজ আমিষের উৎস হিসেবে ব্যাপক উৎসাহের সাথে খাওয়া হয়।
তাছাড়া গরুর চামড়া একটি শতভাগ হালাল খাদ্য। ৭ বছর আগে যখন গড়ে এক জোড়া বাটার জুতা ১০০০/ ছিল তখন যে চামড়া ৩৬০০/ বিক্রি করেছি তার জায়গায় এখন তা ৩০০/ টাকা কিন্তু একই মানের জুতা এখন ৩০০০? পরিস্কার করার পরে ৫-৬ মনের একটা গরুর চামড়া থেকে ১৫-১৮ কেজি পরিস্কার করা খাওয়ার উপযোগী অংশ পাওয়া যায়। তাইলে কেন এটা ৩০০ টাকায় বিক্রি করতে হবে?
#গরুর_চামড়ার_পুষ্টিগুণ_সম্পর্কে_জানুনঃ প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর চামড়ায় ২২৫ কিলো ক্যালরি শক্তি থাকে। উপাদান হিসেবে এই ১০০ গ্রামে ৪৭ গ্রাম প্রোটিন, ৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১ গ্রাম চর্বি, ০.০২ গ্রাম ফাইবার এবং ৪৫ গ্রাম পানি থাকে।
গরুর চামড়ার প্রোটিন সাধারণত জিলাটিন হিসেবে থাকে। জিলাটিন হাড় ও ত্বক গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
#প্রসেসঃ—চামড়া প্রথমে ১ বর্গফুট করে কেটে খাওয়ার সোডা দিয়ে ব্রাশ দিয়ে ঘষে যে দিকে লোম আছে সেদিক ভাল করে পরিস্কার করে নিতে হবে। লবন পানিতে ১৫ মিনিট ফুটাতে হবে, এর পর ধুয়ে পরিস্কার করে আবার পরিস্কার পানিতে ডুবিয়ে ১৫-২০ মিনিট ফুটিয়ে নামিয়ে ৩-৪ ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এর পর নামিয়ে ভোতা ছুরি দিয়ে ঘসা দিলেই উপরের দিকের একটা লেয়ার লোম সহ উঠে আসবে ও একদম পরিস্কার হয়ে যাবে। এর পর ভাল করে ধুয়ে ফ্রিজে রেখে যেকোনো সময় ছোট টুকরা করে গোশতর মত ঝোল /ভুনা বা ফ্রাই করে খেতে পারবেন। একদিকে আমিষের চাহিদা পূরণ হবে,অপর দিকে চামড়া সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে হবে নিরব প্রতিবাদ।