খেলা ঘর
বুঝতে পারিনি রঙধনু রঙিন পাখা মেলে সাত রঙ ছড়িয়ে দেয় ক্ষণিকের তরে—
সপ্তমন্ডল, গ্রহ, নক্ষত্র দেখে পৃথিবীর বুকে আলোর রশ্মি ছড়ে, আকাশ, পবন নিয়ন্ত্রণ করে—
চাঁদ, সূর্যের আলো ধার করে চেয়ে নেই তবু অহংকারী চাঁদ।
পৃথিবীর মিষ্টি শিতল আলোটুকু চাঁদই দেয় আর
সূর্য সেতো কেবল প্রখর আলোয় পুড়িয়ে দিতে চাই।
আমি নাকি পাগল ছিলাম মাথার ব্যামো ছিলো
তাই সে করুনা করে আমাই নতুন জীবন দিয়েছে
শুধুই অনুগ্রহ —-
কেথাও ভালোবাসা নেই, আমার হয়ে কেউ আসে না।
আমি একাই বসত করি, একাই খেলাঘর সাজায় আমার,
জানো?আমার এ খেলাঘরও সে ভেঙে দিতে চাই।
তাঁকে চিনেছি তাঁর হৃদয় আকাশটা অন্যকারো দখলে
তাকে সে রোজ পুজা দেয়——
কেবলি সে চাই আমাকে ভেঙে গুড়িয়ে দিতে
অথচ বুঝতে পারেনা আমি কবেই ভেঙেগেছি সে কবে
ঠিক মনে নেই —–
শুধু জানি আমি আর কোনদিন তাকে দেখতে চাই না।
সারাটা জীবন তোমার
আমি ভাবছি, তোমার পথের ধুলি হবো
তোমার পায়ে জড়াবো, গায়ে, মুখের ধুলিকণা হবো,
তারপর বাতাসে উড়ে তোমার চোখের মধ্যে প্রবেশ করবো।
তুমি চোখ বন্ধ করে ধুলিতে বিলিন হবে!
আবার কখনও বাতাসে তোমার নাসিকার মধ্যে প্রবেশ করে,তোমার বুকের মধ্যে যেয়ে,
তোমার ফুসফুসে ঢুকবো
তোমার পরান এ প্রবেশ করব!
কিছুতেই আমাকে রোধ করতে পারবে না!
তোমার বন্ধ ঘরের বিছানা, কাথা,
থেকে শুরু করে সমস্ত ফার্নিচারেরর উপরে বসে থাকবো।
তোমার হাত দিয়ে তুমি আলতো করে মুছবে অথবা ঝাড়ু দিয়ে আচ্ছা করে ঝাড়বে,
তবুও আবার উড়ে এসে তোমারই গায়েমুখে জড়িয় যাবো,
আমাকে কিছুতেই রোধ করতে পারবে না!
আমি তোমার ঘরের, ঘরের ফুলদানির ফুল হবো না,
আমি তোমার বাসরেরও ফুল হবো
যা তোমার এক রাত্রির স্বপ্ন বাসনা
সারা জীবনের!
সেই সুরভিত সৌরভ সারাটা জীবন তোমার আমিই থাকবো, তুমি কিছুতেই রোধ করতে পারবে না!
নীল দিগন্ত
নদীর বুকে জল ছবি আঁকি,
নীল দিগন্তে এক ঝাঁক বলাকা
শুধু সাদা মেঘ ছিল তখন আমার ছবি আঁকা দেখে
কালো মেঘ উড়ে এলো,
এলোপাতাড়ি বাসা বেঁধে নিল আর
এমন ভয়ানোক গর্জন শুরু করলো মুহূর্তেই ঝড় বৃষ্টি হলো
জলছবি ধুয়েমুছে গেল—
ঠিক এমন-ই করে সব ভেঙে যায় মুছে যায় জীবন থেকে
সেই সে প্রীয় আর আমার মাটির মানুষ কথা দিয়েছিল
কোনদিন কষ্ট দেবেনা আমাকে,
জীবন থাকতে নয় তবু সে
নিজেই ভেঙে গুড়িয়ে দিল আমাকে শেষ করে দিলো বললো
তোকে কোন প্রয়োজন নেই—
সে তো জীবনে ধুমকেতুর মতো এসো ছায়ানটের মতো হারিয়ে গেল, তার বিবেক কাফনে মুড়িয়ে বললো
তোকে তো অনেক ঘৃনা করি, তুই মরতে পারিস না
তাহলেতো আমি বেঁচে যায়,
প্রতি নিয়ত সে মৃত্যু চাইত
তবু মৃত্যু হলোনা বন্ধু —
কষ্টে লজ্জায় আমি দিগন্ত পাড়ি দিতে দিতে মহা দিগন্তে
এখানে এখন বলাকাদের মতো আমিও উড়ি
কষ্ট নেই, যন্ত্রণা নেই মিথ্যে ভালোবাসার গল্প নেই
মেঘের ভেলায় ভাসি সারাক্ষণ তবু সে হাত ঈশারায় ডাকে,
বলে ভালোবাসি তোমাই–
জীবন নিয়ে এতো ছলনা কেন তোমার?
কোন ক্ষতি করিনিতো কোনদিন তবু কেন মারতে চাও তুমি?
তুমি কি সত্যিই ভাবো এ পৃথিবীতে ভালোবাসার মতো কেউ নেই আমার?
আছে, এ মাটির পৃথিবীতে মাটির মানুষ একদিন আসবে
যে সত্যি আমাই ভালোবাসবে——
মাটির পুতুল
সে জানতো আমার আমিটা কোনদিন বড়ো হবেনা
সেই ছেলেবেলার মতো থাকবে যে কিনা এখনো পুতুল ভালোবাসে,
নানা রঙের পুতুল দিয়ে ঘর সাজায়,
বলে, আমার মেয়ে কতটা সুন্দর মেয়ে!
আমার শিশুসুলভ মনকেই সে ভালোবেসেছিল সংসারের মায়া জাল ছিড়ে আমাকেই বেছে নিয়েছিল।
বেঁধেছিল শক্ত বাঁধনে তবু আজ সে বাঁধন ছিড়ে যায়যায়।
আমার অভিমান, অনুরাগ বড়ো বেশি অসহ্য হয়েগেছে এখন,
সে একটুতেই রেগে যায়, আমাকে তাই বড়ো হতেই হলো,
তাকে আর বিরক্ত করিনা, আমার কবিতা শোনায় না।
আমার পুতুলের নতুন জামা বানালে তাকে আর দেখায় না,
সোনা পাখি শুভ সকাল,
কতদিন যে বলা হয়নি ঠিক মনে নেই,
আমার আমি টাকে সে রোজ ক্ষতবিক্ষত করে শেষ করে দিয়েছ এখন আর হাসতে পারি না কেবলই কান্না ঝড়ে,
অথচ আমি হাসতে চেয়েছিলাম।
সে এখন ভিষন বিজি তার কাজ নিয়ে, সময় নেই,
কেমন আছি আমি তা জানার,
অথচ আমি ছিলাম তার চোখের তারায় তারায়।
আচ্ছা,সত্যি কি ভালোবাসা ফুরিয়ে যায়?
নাকি শুধু ভালোবাসার মানুষটা বদলে যায়?
একবার কাউকে ভালবাসলে তো অন্যকারো দিকে তাকাতে মনে চাই না,
তাকে ছাড়াতো কিছুই ভাল লাগেনা।নানা ভাবে
শত উপায়ে শুধু তাকেই ভালোবাসা যায়, তবে কি করে শেষ হয় অনুভূতি?
কেন ছেলেবেলা হারাতে হয়?
আমি আমার মতই আছি বেশ সে বদলে গেছে,
আমি মেনে নিয়েছি, এখন সে আর মন খারাপের গল্প হয় না আমার।
আমি আবার আমার মতই বেশ আছি
সেই অনাদিকালের মতো একা শুধু একা।
সে এখন অন্যকারো, অন্যকারো হাসি ফোটাত ব্যস্ত
অন্যকারো সকল চাহিদা মেটাতে অনেক কাজে ব্যস্ত
আমার কথা আর মনে নেই তার।
সে এখন অন্যকাউকে ভালোবাসে বন্ধু
আমি শুধু ছিলাম তার মাটির পুতুল তাই ভেঙে গুড়িয়েছে
কোনদিন হতে পারিনি তার মাটির মানুষ
সে তো কখনো ভালোবাসিনি।