কামনা
(তানজারীন ইফফাত শাতি)
আমার পাতে পোড়া ভাত
আমি সুখে নেই,
আমার জীবনগাঙে ডাকে না জোয়ার
শুধু ভাটাই পড়ে থাকে
আমি সুখে নেই,
আমার চাষের জমিতে ফলেনি কোন শস্যদানা
শুধুই বিরাণ পড়ে আছে
আমি সুখে নেই,
আমার চোখ দুটো পোড়ে
কেঁদেছি অনেক রাত
আমি সুখে নেই।
আমার নিশ্বাসে ক্ষোভ, বিদ্বেষ
আমার কন্ঠে ঝরে পড়ে শত আবেগ
আমার অন্তরে আগুন
আমার জিহ্বায় রসনাতৃপ্তির ছোঁয়া নেই
আমার কানে অভিযোগের কথা
আমি কেবলি নারী এবং দোষই আমার ভুষন,
কি করে সুখি হতে হয় আমি জানি না।
আমি পূজারী নাকি আমায় ঘিরে দুঃখ নাচে?
নেচে নেচে পুজো করে?
আমি জলে ঝাঁপ দেই
ডুবতে ডুবতে অতলে চলে যাই
আমার ভেসে উঠতে ইচ্ছে করে না,
আমার পোড়া চোখের জল নদীর জলে মিশে যায়
আমি মানুষ নই
কেবলি নারী।
আমি গড়তে পারিনি কোন বন্ধন
সবাই আমায় ছেড়ে গেছে,
তবুও সবার পায়ে পুজো দিয়ে যাই
ডাহুক হয়ে উঠি যেন,
মানুষ নই।
মানুষ হতে হলে শিক্ষা নিতে হয়
নারী হতে হলে নয়।
আজ আমায় গ্রাস করেছে হতাশা
আমি সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে যাই
যেখানে অপেক্ষা করে আছে আমার ভাই,
উপরটা বন্ধ করে দিল কে?
আমি কি কবরবন্দী হলাম!
নাহ্!
ঘুম ভেঙে গেছে।
এখন মাঝরাত
আর একটু পরেই ভোর হবে,
ঘুম আসবে না আর।
নিত্য দিনের সুখকামনা গুলো এতই ভয়ঙ্কর যে
কে কোথায় হারিয়ে যায় জানি না,
আজ সকালটা খুব মিষ্টি লাগছে
শরৎ এলে শিউলি ফুল কুড়াতাম
বকুলের মালা গাঁথতাম,
সকালে তোমার হাতটি ধরে
শিশির ভেজা ঘাসে হেঁটে বেড়াতাম।