কলিজায় কেমন লাগে
শেখ মনিরুজ্জামান শাওন
হে আমার নিভৃত, নি:শব্দ, স্বপ্নচারিণী
হে আমার প্রিয়তম।
আমার রক্তকণিকা, আমার অক্সিজেন,
আমার বুকের জমিনে ফলানো উর্বশী ফসল।
কোন নিরব অভিমানে চলে যাবে তুমি, আমায় ছেড়ে,
পিছনে সব চৌচির করে চৈত্রের খরতাপ হেনে।
বুনোহাঁস ভুলে যাবে শুক্লপক্ষের দশমী
সঙ্গিনীর পালকে ঠোঁট গুজে সাঁতার কাটা।
মাস্তুল ভুলে যাবে দিক খণ্ডিত চন্দ্রালোকে।
কাছের মানুষ, সব পরিত্যাজ্য।
ঘরের বাতাস যেন বিষাক্ত গ্যাস
কোথাও নেই জীবনের স্থিরতা
শুধু একমুঠো রুদ্দুরের জন্য অবিরাম ছুটে চলা।
একাকীত্বের ঘণ্টাবাজে সদা পূবালী বাতাসে।
শব্দ দূষণে অবিরত ধুমরে মুচড়ে যায় বুকের পাঁজর।
গগন বিদারী চিৎকার দেই। কোথায়, এখন কোথায়
হে মোর প্রিয়তমা।
বিষাক্ত জীবন দিবে যদি–
“তবে- কেন গড়লে আমার অস্তিত্বে তোমার প্রতিমা
উইপোকা খাবলে খেয়েছে ভালোবাসার প্রতিজ্ঞা নামা।
চাঁদ-তারা রাঙামেঘ সব স্বাক্ষীরা হয়েছে নির্বাসিত।
সমুদ্র লোবানে ডুবে গেছে আমার বদ্বীপ।
নিকোশ কালো অন্ধকারে মুখ থুবরে পড়ে আছে যাপিত জীবন।
তুমি চলে যাবে বলে
এই বুকের বাম পাশে থাকা কলিজায় কেমন লাগে,
জান প্রিয়তমা?
লাঙ্গলের তীক্ষ্ম ফলায় তুলে আনা
যেন ক্ষত-বিক্ষত মৃত্তিকার ফালা।