১) ফাল্গুনী কন্যা
প্রকৃতির ফাল্গুনী কন্যা,
বসন্ত ছুঁয়েছে তাই ধন্যা!
বসন্ত হরষে আজ
কপোল যে রাঙা,
আনন্দবীণা বাজে
কাননে ঘুম ভাঙা!
চুপি চুপি আয় বসন্ত বায়,
নিভৃতে হৃদয় কুঞ্জ ছায়!
আনন্দময় বসন্ত সমীরণ,
সুখকর কানন বিচরণ!
ফুল ফুটুক হৃদয় কাননে!
মধুর হাসি আধো নয়নে!
রাঙা অধর নয়ন কালো,
ফাগুন দিনে লাগে ভালো!
শিমুল পলাশের কত
শাখায় শাখায়,
দিকে দিকে রাঙা রঙের
শিখায় শিখায়!
কুঞ্জে কুঞ্জে জাগে
বসন্ত আনন্দে,
আনমনা মন মোহিত
আম্র মুকুল গন্ধে!
হৃদয়ে কী আনন্দ জাগায়
ওরে কে’ আছিস কোথায়,
নব কুসুমপল্লব নব গীতে
আয় তোরা আয় রে আয়!
কোথা হতে বয় এত প্রাণভরা
প্রেম-হিল্লোল!
হৃদয়কুসুম ফুটে পুলকভরা
চির-মঙ্গল!
সুখ খেলা রচে বেলা
কাটুক আহা কী আনন্দ!
ব্যথা ঘুচে বাজুক নূতন করে
বীণার তান ছন্দ!
২) অনুভবে তুমি
বারেক না দেখি তাঁরে
জাগতিক বিশ্ব মাঝারে!
তবুও মোরা বসে আছি
তাঁরই তরে এ ক্ষুদ্র সংসারে!
নিভৃত হৃদয় মাঝে
শুনি তোমার আহ্বান!
কোলাহল মাঝেও চকিতে
চপল আলোকে তোমারই জয়গান!
কতশত ভক্ত প্রাণ
পুলকে কত মগন গাইছে গান!
কত হর্ষ ভক্ত-হৃদয়ে কত বারণ
সকলেরে ক’রো অভয় দান!
কত শত আছে দীন
কত অভাগা আশ্রয়হীন!
শোকে তাপে জীর্ণ প্রাণ
কত কাঁদছে নিশিদিন!
নিরাশের মাঝে আশার কাহিনী
প্রাণে জাগায় নব বল!
মধুর তানে নীরস প্রাণে
মধুর প্রেম জাগায় হই সচল!
শ্রান্তি আলস বিষাদ বিলাস
দ্বিধা-বিবাদ দূর করে!
সব আলস যাক দূরে
মনোবীণা বাজুক সুরে সুরে!
চলো কল্যাণে চলো অভয়ে
চলো আলোকে পুণ্যপরশ পুলকে!
সকল দুয়ার আপনি খুলুক
সকল প্রদীপ আপনি জ্বলুক!
তোমার মধুর শীতল ছায়
যত শোক তাপ সব দূরে যায়!
জগতে কাঁদে যাঁরা নিরাশায়
তোমার কৃপায় আঁখি যেন মুছে যায়!