পরিযায়ী পাখি
সাজেদা পারভীন
*********************
সে এসেছিল নিরবে অতি সন্তর্পনে
শীতের হিমেল কুয়াশার চাদর মুড়ে।
তাকে দেখে নতুন ধানের উৎসব হলো শুরু
কিষাণীর হৃদয় আনন্দে উদ্বেলিত হলো।।
সে কি নাচন বাহারি পাতায়!
রান্নার ব্যঞ্জনা বাড়াতে মুঠোয় মুঠোয় স্থান পেলো
উঠোনে মাটির চুলার সালুনে।।
কিষাণীর মুখে তৃপ্তির হাসি
চাল কুটছে নতুন ধানের
দূরে দুটি শালিক একমনে অবলোকন করছে সেই দৃশ্য।
আহা! কি মনোরম দৃশ্য!!
শহরে ঠাঁই মেলে না আজকাল
তাই নতুন অতিথি সেজে সে কিষাণীর বাড়ি।
নতুন প্রেমে পড়ার মতো কিষাণীর বুকও উঠানামা করে গাইল ছেহাটের হাপরে হাপরে।।
কিষাণীর ভয়
হরেক রকম পিঠার বাঁধনে শহুরে সেই বাবুকে বেঁধে রাখতে পারবে তো?
দুটো শালিক-
আনমনে ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে গল্প কেচ্ছা করে
ঠিক যুগল পায়রার মতো।
গ্রামের আলপথ বেয়ে কুয়াশার চাদরে ঢাকা খেঁজুরের রস চুঁয়ে চুঁয়ে পড়ে ভেজে গাঁয়ের মেঠোপথ।
আর পা দুটো ভিজিয়ে দিয়ে যায় পরম ভালোবাসায়,
তাতে কাব্য রচিত হয় শহুরে বাবুর গাঁয়ের পথ চলায়।।
আবারো কিষাণীর চঞ্চল চোখ খোঁজে
শহুরে পথিকের মুখ,
পরিযায়ী -সে তো এই তিনমাস গাঁয়ের কিষাণীর সুখ হলেও
মূলত সে কিষাণীর পরিযায়ী দুখ।।
১৩৫ বার পড়া হয়েছে