অনন্তকালের বনসাই
শিরীণ আক্তার
আমি মুছে দিতে চাই সে অপেক্ষার প্রহর
যেথায় অবহেলার রাজত্বে মাকড়সা জাল বোনে,
ভুলে যেতে চাই সে ভালোবাসার স্মৃতি
যেখানে অবহেলা উপেক্ষার মুচকি হাসি হাসে,
নিভিয়ে দিতে চাই সে তুষের আগুন
অপেক্ষাকে অবহেলা যেখানে পুড়ে করে ছাইমাখা কয়লা,
উপড়ে দিতে চাই সে বিষদাঁত
বিষাক্ত ফণা তুলে অবহেলা কামড়ে যেখানে বিষে জর্জরিত করছিলো,
অপেক্ষার সাথে অবহেলা মিশ্রিত সে বরফের
চাঁই তপ্ত মরুদ্যানে ঝরাতে চাই আমি।
যাতে মুহূর্তেই অবহেলাকে ছাড়িয়ে খটখটে শুকনো মন পোড়া
সে অপেক্ষা আমার সামনে এসে দাঁড়ায়,
তবে সেদিন হতে তোমার প্রতীক্ষায় আমি অনন্তকাল অপেক্ষা করব।
হতে পারি বট পাকুড়ের শতাব্দীকাল বেঁচে থাকা বনসাই,
হতে পারি গুয়ানাজুয়াতোর জীবন্ত মমি
অনন্তকাল বয়ে যেতে পারি উন্মত্ত নায়াগ্রার জলরাশি হয়ে,
স্থির পোট্রেটে হয়ে যেতে পারি ভারমিয়ারের মোনালিসা অফ নর্থ।