আমাকে চিনবেন অমিত’দা
আপনি আমাকে চিনবেন অমিত’দা।
বেশিদিন আগের কথা তো নয়;
এই মাস কয়েক; আমরা পাশাপাশি…
ছিলাম না কোন ভাবেই একে অন্যের পরিচিত।
নির্দিধায় মানবিক হয়ে উঠেছিলাম তবু।
যখন স্বজনের ভারি বোধ, চিন্তা-আক্রান্ত মুখ,
যখন ডাক্তার, নার্স, ভেন্টিলেশনের হাহাকার,
যখন অবুঝ মৃত্যুর বায়না দোরগোড়ায়;
আমরা একে অন্যের মায়া ছুঁয়ে ছিলাম।
অক্সিজেন আহাজারিতে এক বেডে শুয়ে-
দু’দুটো বিভীষিকা রাত পর আমি এলাম; পেছনে আপনি।
গঙ্গার জল ঘোলা হয়েছে অস্থি-মজ্জা, হাড়ের ছাইয়ে।
দু’জনার চোখে তবু একফোঁট জল ছিল না।
মনে কি পড়ে আপনার- আমরা মায়া ছুঁয়ে ছিলাম?
আর যেও না
দাঁড়াও আকাশ আর যেও না দৃষ্টি সীমার বাইরে গেলে
দৌড়াতে হয় তাও বুঝ না, আমার চোখের ঘোলা দৃষ্টি
এই দুপুরে পাহাড় ডিঙোয় কোন সাহসে,
বহুকাঁটা খুলতে খুলতে হাতের মধ্যে রক্তক্ষরণ জল ছুঁয়ে যায়,
বুকের ভেতর সাঁতার কাটে কনকচাঁপার সুখ্যাতিটা,
পায়ে পায়ে সবুজ ইচ্ছে নগর জুড়ে দলিত হয়,
দেখতে পাই না উপর পানে, নিষেধ ঠেলে আর ছুটি না
মরীচিকার আসন ফেলে মাটির বুকে গন্ধমাখো,
সবাই যখন খুঁজে তোমায় উপন্যাসে আর থেকো না,
সবকিছুই ধ্বংস হবে শূন্যতাও মাপ পাবে না,
তখন তুমি একা একা হঠাৎ জেগে থই পাবে না।
ইতোমধ্যে অনন্তদিন লুকিয়ে কাঁদে যখনই ছুঁই খুঁটিনাটির নীল বেদনা,
তোমার ছায়া কেবল পড়ে মেঘে এবং রৌদ্রকণায়,
খুব বেশি দূর আর যেও না
এই সাধারণ মানুষ ফেলে সর্বনাশী অন্ধকারে।
রওশন রুবী, সদর, লক্ষ্মীপুর।
১ Comment
Congratulations