স্বার্থ ও শপথ
পারও বটে মেঘদের জোছনায় ভিজাও বৃষ্টিকে পোড়াও
জীবন ও মরণের কাছাকাছি হারাও মৃত্যু ক্ষুধা বাড়াও
কষ্টও দুখে কৌলিন্যে লালন কর জলাঞ্জলি যেন সুখে।
পাথর চোখে ছন্দেমোড়ানো দূর পহাড়ের চওড়া বুকে।
জাহানে হয়না ঠাঁই বিশেষ দু’ইঞ্চিতে বিরাজ অনিমেষ!
নোনাজল জনমের পরিবেশ কারো আনন্দের নেই শেষ।
কারো দেও পোড়াবাশি কারো কেড়ে নেও রাশি রাশি।
কেউ সব পেয়েও অখুশি কেউ সব হারিয়ে মুখে হাসি!
কাউরে নবাবজাদী কারোকারো ললাট লিখন চিরদাসী।
কেউ উপবাসী কেউ পরবাসী,কারো আবার মরণ ফাঁসি
কেউ গায় বারমাসি কখনো কখনো আবার হয় সর্বগ্রাসী
চলছে খেলা হরধম একদিন শেষ ধম এভাবে দিবানিশি।
কেউ মরে কেউ মরার উপর চরে ভবে জনে জনে জনতা,
নব্য সভ্যতা কেউ খোঁজে না মায়ের আঁচল ভরা মমতা!
ঝিকে মেরে বউকে শেখায় না পথভুলারে দেখায় না পথ,
যত পথ তত অভিমত স্বার্থের দ্বন্দ্বে সবায় ভাঙ্গে শপথ।
২। অজানা
সাধ আর সাধ্যের জালে আটকে আছে মায়ার ভুবন,
শারদীয় শুভ্র বিকালটাও এখন দেখায় না রঙিন স্বপন,
আলুথালু যাপিত জীবন এলোমেলো যত বাসনার বুনন,
অকালে ভেঙ্গে শান্তিরসন্ধি আঁধারেবন্দী নীলাম্বরীরমন।
পলেস্তা খসে পরা বসুধায় হয়েছে যে কত আশার মরণ,
কোন এক বিজন অরণ্যে হয়েছিল যেন সুখের বস্ত্রহরণ।
মনুষ্য, ক্ষমা, শ্রদ্ধা, ভালোবাসায় কেউ করে না অনুকরণ,
ন্যায়নীতি গেছে নির্বাসন অধম ইবলিশে করে অনুসরণ।
পরাণের গহীনে অতি যতনে আগলে রাখা কিছু প্রেম,
কালের স্রোতে গা ভাসিয়ে হরধম নিঃস্ব যে আজ শ্যাম।
মিছে জীবন যৌবন অলীক এ বসুমতির সব আয়োজন,
আজও অজানা ধরায়কে প্রিয়জন আর কি প্রয়োজন?
_____________________________
রচনাঃ ৩০.০৭.২০২২ খ্রীঃ
খামনগর, বাঞ্চারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশ।
১ Comment
দুটি কবিতা পাঠে আনন্দ পেলাম