কবে হবে ইচ্ছে পূরণ
শৈশবে মায়ের কোলে চড়েছি
কাঁধে, পিঠে চড়িয়েছেন বাবায়
হাতে, পায়ে দুলিয়েছেন তারা
দুলেছি কতো দোলনায়।
হেঁটে, হেঁটে পথ চলেছি একা
কতো গন্তব্য দিয়েছে পাড়ি
প্রান্ত থেকে ক্লান্ত বেশে
এসেছি সাইকেলে চড়ে বাড়ি।
চড়েছি গরুর গাড়ি,ঘোড়ার পিঠে
ঠেলা,ভ্যান,রিকশা মটর সাইকেলে
ট্রাক,অটো,মাইক্রোতে চেপে বসেছি
ট্রেন, বাসের হ্যান্ডেলেতে ঝুলে।
চড়েছি কতো নৌকা,ভেলায়
স্পিডবোট আর লঞ্চে
সমুদ্রপৃষ্ঠে জাহাজে করে
কারো অসুস্থতায় এ্যাম্বুলেন্সে।
চাকরির সুবাদে দামি পাজেরো চড়েছি
জীপ, পিকাপ, প্রিজন ভ্যানে
দূরপাল্লার এসি, নন-এসি বাসে করে
ছুটি নিয়ে নাড়ীর টানে।
স্থলপথে চড়েছি কতো
নদী, সমুদ্রে করে জলযানে
ইচ্ছে জাগে কবে ভাসবো হাওয়ায়?
তাই ভাবছি মনে, মনে।
শুধুই স্বপ্ন বিভোরে হাওয়ায় ভেসেছি
বাস্তবে পারেনি,ইচ্ছে তাই সারাক্ষণ
চাতকের ন্যায় আকাশ পানে চেয়ে থাকা
কবে হবে যে আমার ইচ্ছে পূরণ?
তারিখ–০৩-১০-২০২২ইং
লাঠির আদ্যোপান্ত
লাঠি নিয়ে আদ্যোপান্ত
বলবো কিছু তার বর্ণনা
লাঠি দিয়ে হচ্ছে খুঁটি
এই খুঁটিই নিচ্ছে সীমানা।
শিক্ষা গুরুর বেতের লাঠি
করে শাসন ও প্রহার
ভালো-মন্দ সকল কার্যে
হচ্ছে লাঠির ব্যবহার।
বৃদ্ধকালে লাঠি ছাড়া
যেমন চলাচলে অচল
আবার, অন্ধ, পঙ্গু চলার জন্য
তার লাঠিই সম্বল।
সকল জায়গায় দিনে-রাতে
দারোয়ান দিচ্ছে পাহারা
শক্তি, সাহস পাচ্ছে রক্ষী
হাতের লাঠিই দ্বারা।
লাঠিখেলা গ্রাম-বাংলার
আমাদের লোকজ সংস্কৃতি
কেউবা আবার লাঠির জোরে
দেখাচ্ছে ভয়-ভীতি।
দশের লাঠি একের বোঝা
শিক্ষা তার মূলে
আড়াল থেকে লাঠি দিয়ে
কেউবা, ঢোল পিটিয়ে চলে।
লাঠি দেখলে মাথার বানর
যেমন, চটজলদি নামে
তেমনি, সর্প দেখলে লাঠি দিয়ে
আঘাত চলে হরদমে।
পুলিশের হাতে দেখলে লাঠি
চোরের দম থাকে না প্রাণে
লাঠির আঘাত কেমন মজার
তা লেপ-তোষকেই জানে।
লাঠি-বৈঠা নিয়ে মাঝি
নৌকা করেন পার
দেখায় কর্তাবাবু লাঠি দিয়ে
দিক নির্দেশনা তার।
যুদ্ধকালে রাখাল, ভিক্ষুক
হাত রাখেনি ফাঁকা
তারা লাঠির চূড়ায় উড়িয়েছিল
স্বাধীন বাংলার বিজয় পতাকা।
_____________________
জেলরোড, কাশর
কোতোয়ালী, ময়মনসিংহ।
তারিখ: ০১-১১-২০২২ইং
লেখক পরিচিতি:
কবি মোঃ মনিরুজ্জামান। ডাক নাম মাঈনউদ্দিন। ১৯৮৩ সালের ০৩ জুলাই ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানাধীন জেলখানা রোড (কাশর) এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মোঃ আবুল কাশেম। মাতার মৃত দিলরুবা বেগম। ২ছেলে ৪মেয়ের মধ্যে কবি মনিরুজ্জামান সকলের বড়। ছোটবেলা থেকেই কবি ছিলেন শান্ত প্রকৃতির। শখের বশে লেখালেখি করে নতুন কিছু সৃষ্টি করা ছিল তার আনন্দের বিষয়। পরিবারের ৬ ভাই-বোনের সংসারে অভাবের অন্ত ছিলো না।বাবা ছিলেন সামান্য বেতনের সরকারি কর্মচারি (কারারক্ষী) চাকুরীর প্রয়োজনে বদলি জনিত কারণে বাবার সাথেও তাকেও বিচরণ করতে হয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়। আর্থিক যোগানের দৈন্যতার ২বছর লেখাপড়া বন্ধ ছিল মোঃ মনিরুজ্জামানের।
বড় ছেলে বলেই সংসারের হাল ধরতে কবিকে নানান রকম শ্রমের কাজ করতে হয়েছে। এই কাজের মধ্যে থেকেও জনৈক ব্যক্তির অবজ্ঞাসূচক মনগড়া কথা শুনে কবির মনে এক ধরণের অপমান বোধের উদয় হয়। অনেকটা জেদ করেই শত কষ্টের মাঝে কবি আবারও লেখাপড়া পাঠ শুরু করেন ইচ্ছা চেষ্টার ফলে ২০০৩ সালে হাজী উসমান আলী উচ্চ বিদ্যালয় হতে বাণিজ্য্য শাখায় SSC পাস করেন। পরবর্তীতে HSC ভর্তি হোন মুক্তাগাছা, শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজে।সেখানে লেখাপড়া চলাকালীন বাবার উৎসাহে পুলিশ বিভাগে চাকরিতে যোগদান করেন। প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ পর্বের ইতি ঘটলো সেখানেই। শারীরিক ট্রেনিং তথা প্রশিক্ষণ শেষ করে ০৪-০৫-২০০৬ সালে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কর্মজীবনে। সুনামের সহিত চাকুরীর ০৫ বছর অতিবাহিত করে ২৪ এপ্রিল ২০১১ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্ত্রী মিতু জামান ও ৩ কন্যা (১) মেহজাবিন আরা লাম’ইয়া (২) মাইমুনা আক্তার মাইশা (৩) মুমতাহিনাহ কে নিয়ে তার সংসার জীবন।মূলত চাকুরীর সুবাদে জীবনঘনিষ্ঠ বন্ধু এ,কে রুবেল এর উৎসাহ, আন্তরিক অনুপ্রেরণা লেখালেখির সরব পদচারণা।
আত্মার পরম আত্মীয় প্রিয় প্রণয়িনী সহধর্মিণীর উদ্দীপনাপূর্ণ ভালোবাসা এবং সর্বাত্বক সহযোগিতার সমন্বিত প্রয়াসের ফসল কবি মোঃ মনিরুজ্জামান এর প্রথম কাব্যগ্রন্থ
“দূরত্বের দেয়াল”
দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ
“”রুপান্তরিত””