দশ দিনের জন্য মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন মাসিক সাহিত্য স্পন্দনের সম্পাদক ডক্টর হাসিনা ইসলাম সীমা। পরিবারের সঙ্গে দুবাই ও সৌদি আরব সফর করবেন তিনি। পালন করবেন পবিত্র ওমরা হজ্জ । তিনি বলেন, এবার নিয়ে আমি ৫ম বার সৌদিআরব যাচ্ছি। একবার পবিত্র হজ্জ্ব পালন হয়েছে এবং চতুর্থবার ওমরা পালন হবে ইনশাআল্লাহ্। আজ রাতের ফ্লাইটে যাবো । ফিরব ২৪ অক্টোবর।
হাসিনা ইসলাম সীমার জন্ম:২৬ ডিসেম্বর। রাজধানী ঢাকায় এক অভিজাত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন । কিন্তু জন্মসূত্রে পাওয়া আভিজাত্য নিয়ে তিনি বিভোর থাকেননি। আপন আভিজাত্য তিনি নির্মাণ করেছেন তাঁর গুণ ও কর্ম দিয়ে । সীমার বাবা একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক এ .কে .এম শহিদুল ইসলাম। মা তহমিনা ইসলাম একজন সুগৃহিনী। পৈতৃক নিবাস গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরে। তিনি বাবা–মায়ের পাঁচ সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ। শৈশব, কৈশোর ও বর্তমান কাটছে রাজধানী শহর ঢাকায়।
বাবার কাছে তাঁর শিক্ষা জীবনের হাতে খড়ি সেই পাঁচ বছর বয়স থেকে। সম্প্রতি তিনি ভারত থেকে পিএইচ.ডি সম্পন্ন করেছেন। এইচ.এস.সি পাশের পর পর তার বিবাহিত জীবন শুরু হয় । কিন্তু আর দশটা মেয়ের মতো সেখানেই তিনি লেখা পড়ার ইতি টানেন নি । তিনি বংলা সাহিত্যে অনার্স সহ মাস্টার্স করেন । এরপর আবার বি.এড ও এম.এড (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)। সেখানেই শেষ নয় । এরপর আবার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ (এইচ. আর.এম) করেন । এরপরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.বি । এরও পর আবারও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম। শিক্ষা এবং শিক্ষকতা পেশার উপর স্কুল – কলেজের নিবন্ধনসহ ডজন খানেক সার্টিফিকেট কোর্স তিনি করেছেন । বাংলাদেশ ও ভারতে বিভিন্ন সময় তিনি শিক্ষা ও সাহিত্যের উপর বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার ও ওয়ার্কশপ করেছেন। ।
হাজী শরিয়তুল্লাহ্ ডিগ্রী কলেজের মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল। বর্তমানে তিনি সাউথইষ্ট ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করছেন। তিনি বংলাদেশ ‘শিক্ষক পর্ষদ’ এর সদস্য। এছাড়াও পাশাপাশি তিনি “GAC-UNI-GLOBAL SHIPPING LTD”এর Director(HR) হিসেবে রয়েছেন। তিনি শিপিং এর উপর দুবাই ট্রেনিংও সার্টিফিকেট কোর্স করেছেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে টেকনাফ থেকে তেতুঁলিয়া ভ্রমণ করেছেন তিনি একাধিকবার।
সাহিত্য সাধনা করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতায় করে যাচ্ছেন নিয়মিত। সম্পাদনা করছেন সাহিত্যের পত্রিকা। তিনি একজন সংগঠক ও বটে। আজীবন তিনি সাহিত্য সাধনা ও মানুষের সেবা করে যেতে চান। আমরা এই গুণীজনের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন কামনা করি।
ছড়িয়ে দিন