প্রিয় শাহাবাগ
–জিনিয়া ফেরদৌস রুনা
সেদিন সন্ধ্যার পর তারাগুলো জাগবার আগে
আলো আঁধারের স্নিগ্ধ পথগুলো হাত বাড়ালো।
ঘুমুতে যাবার আগে সতেজ ল্যাম্পপোস্ট বন্ধু হতে চায়
ক্রমান্বয়ে আরো স্বচ্ছ আলোয় যাত্রী ছাউনি পেতে ধরে।
একের পর এক শাহাবাগের শিল্প বাড়ি যেন পরম আত্মীয়
সবখানে ঢেউ খেলানো সংস্কৃতির মহা সমুদ্র ডাক দেয়।
ইচ্ছেরা তখন ডাক পাঠানো কবুতরের পায়ে চিঠি ওড়ায়
গীতবাদ্য, কবিতাকথায় কিংবা নৃত্যপর উর্বশীর ঘুর্ণিঝড়
দেয়ালচিত্র থেকে অদম্য ভাস্কর্যের নান্দনিক ঢেউয়ের উৎসব
অমর একুশে গ্রন্হমেলা, মার্চ, বৈশাখ, ডিসেম্বরজুড়ে জয়ডংকা
প্রবল আবেগের টানে ছুটে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পরম্পরায়
ছুটে আসে নতুনতর স্বপ্নের না বলা কথা বলতে বা শুনাতে।
আবালবৃদ্ধবনিতা আর বিশেষ গুণীজন ধন্য ধূলির মায়া
একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে বিছানো জ্বলজ্বলে মুক্তারাশি!
বইঘর,ফুলবিতান,পুরাকীর্তি,চারুকলা,বিশ্ববিদ্যালয়,
টিএসসি চার নেতার মাজার, আউলিয়া, বাংলা একাডেমির মহাবিশ্ব!
সমুন্নত শহীদ মিনার, রমনার বটমুলে সমাবেশ, কার্জন চত্বর!
রেসকোর্সে জনসমুদ্রের উন্নত সেই তর্জনীর উজ্জ্বল ইতিহাস!
বারবার হাঁটতে থাকে চেতনার সাহসী পথ ধরে আরো দুরে।
কান পেতে শুনি দীপ্র, উদ্ভাসিত জনকল্লোল মুখরিত শ্লোগানে!
উদার বাতাসে ভর করে হাতে হাত ধরে জেগে থাকে বাংলা জননী।
১৮৫ বার পড়া হয়েছে