কবি, কথাসাহিত্যিক ও কর্মবীর আরিফ মঈনুদ্দীনের ব্যাক্তিজীবন
–/ মাইন সরকার
পরিচয়:
কবি, কথাসাহিত্যিক ও কর্মবীর আরিফ মঈনুদ্দীন ০১ জানুয়ারি, ১৯৬১ সালে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস ফেনি জেলার দাগনভূঞা উপজেলাধীন ৫ নং ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত চন্ডিপুর গ্রাম। কবির প্রকৃত নাম কাজী মাইনউদ্দিন চিশতিয়া। তাঁর পিতা : নজির আহাম্মদ বড় মিয়া পেশায় একজন নাবিক ছিলেন, মাতা : মাফিয়া খাতুন ছিলেন গৃহিণী,
বোন চারজন এদের মধ্যে আরিফ মঈনুদ্দীনের অবস্থান চতুর্থ। দাদা মুন্সী মুজাফফর আলী শাহ্। দাদী : রাবেয়া বানু। নানা : হামিদ আলী। নানী : কুলসুম বেগম। নানাবাড়ি : নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধীন মোহাম্মদনগর গ্রামের অধিবাসী।
শিক্ষা জীবন :
কবি, কথাসাহিত্যিক ও কর্মবীর আরিফ মঈনুদ্দীন শিক্ষা জীবনে তিনি দুধমুখা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৬ সালে এস এসসি পাশ করেন। তারপর সরকারি মুজিব মহাবিদ্যালয় বসুরহাট কোম্পানীগঞ্জ থেকে ১৯৭৮ সালে এইচ এসসি পাশ করেন। তারপর তিনি ১৯৮২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং -এ স্নাতক ( সম্মান) এবং একই বিষয়ে ১৯৮৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
পেশাগত জীবন :
পেশাগত জীবনে তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে প্রায় ১৬ বছর বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ – এ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে
চাকরি করেন। চাকরি জীবনে কখনো কোনো অনিয়মের সঙ্গে আপোষ করেননি।
চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পূর্বে তিনি উক্ত ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্ড ডিভিশনে হেড অব মার্কেটিং প্রধান হিসেবে কাজ করেন।
লেখক জীবন :
কবি, কথাসাহিত্যিক ও কর্মবীর আরিফ মঈনুদ্দীনের গ্রন্থগুলো হলো কবিতার বই এখানে জিন্দাবাদ ভাড়া পাওয়া যায় (১৯৮৫)
নাছোড়বান্দা (খোলা কবিতা ১৯৮৭), সকাল ভাঙা দিন(২০১২), আলো খুঁজছো আলো (২০১৫), ভালোবাসার দিনে প্রেমের পঙক্তিমালা (২০১৬), দ্য প্রফেট (২০২০), একজন রোহিঙ্গার স্বগতোক্তি (২০১৮), জনকের জন্যে কবিতা (২০১৮)।
গল্পগ্রন্থ : অন্সরা(১৯৯৮), ৭১নং গুলশান এভিনিউ (২০১১), নোঙ্গরে নিয়তির হাত (২০১০), নির্বাচিত প্রেমের গল্প(২০১১)।
উপন্যাসগ্রন্থ : সূর্য শিখর দিন (২০০১), দহন লাগা তৃষ্ণা (২০০৩), দুধমুখা যেতে যেতে (২০০৪), নিভৃত নিলয় (২০০৫), মেঘ এসে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় (২০০৫), হাত বাড়িয়ে দাও (২০০৮),
হৃদয় গহীনে যে সুর বাজে (২০০৯), আকাশ ছুয়েছে মন (২০০৯)। জুরানপুরের গল্প (২০২০)।
পদক বা সম্মাননা প্রাপ্তি :
পদক বা সম্মাননা : ২০০৪ সালে রোটারী ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল সম্মাননা, ২০০৬ সালে সিলোনিয়ার যুই সোসাইটি কর্তৃক আলোকিত
মানুষ সম্মাননা পদকে ভূষিত হয়েছেন। ২০০৭ সালে কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ স্মৃতি পুরস্কার, বাসপ সম্মাননা পদক, নক্ষত্র সাহিত্য
পরিষদ সম্মাননা পদক, ২০০৮ সালে শব্দশীলন সাহিত্য পুরস্কার, ইয়াকুবপুর তরুণ সংঘ কর্তৃক তারুণ্য গুণীজন সম্মাননা, ঢাকা ব্যাংকের সৌজন্যে নবীনকণ্ঠ সাহিত্য – সাংস্কৃতিক পুরস্কার, ২০১০ সালে ফুলকলি ফাউন্ডেশন কর্তৃক ” দুধমুখা যেতে যেতে” উপন্যাসের জন্য বেস্টবুক অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এছাড়াও তিনি
২০০৫ সালে ওয়ার্ল্ড এক্সপোজিশন-২০০৫ উপলক্ষে জাপান সরকারের আমন্ত্রণে ১০ সদস্যের এক সাংস্কৃতিক দলের সদশ্য কবি
হিসেবে জাপান সফর করেন।
২ Comments
স্যারের সুস্থতার সাথে দীর্ঘায়ু কামনা করছি
congratulations, Very good response.